ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সরকারি আজিজুল হক কলেজে মানববন্ধন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 140

মহিউদ্দিন নিশাত, বগুড়াঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের (২০১৫-২০১৬ )সেশন এর ফাইনাল পরীক্ষার অযৌক্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত রুটিন পরিবর্তন ও সংশোধনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে দাবি করছে। এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় তারা আন্দোলনে নেমেছে। ইতিমধ্যে অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে চতুর্থ বর্ষের অনেকেরই মান উন্নয়ন পরীক্ষা থাকার কারণে তাদের একসঙ্গে দুই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার মধ্যে তেমন কোন বিরতি না থাকায় অনেকেই মানোন্নয়ন পরীক্ষা আবারো খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।

এছাড়াও চতুর্থ বর্ষের প্রতিটি পরীক্ষার মধ্যে একদিনের বেশি বিরতি না থাকায় ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছে। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের রুটিন পরিবর্তন এর স্বপক্ষে বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি পেশ করেছেন।

দাবিগুলো হলোঃ

  • ১.অনেকেরই ২২ও ২৫ তারিখে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা আছে। কিন্তু তার একদিন পরেই চতুর্থ শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। অনার্স ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা একদিনের প্রস্তুতিতে কিভাবে দেওয়া সম্ভব এই নিয়ে তারা সংখ্যায় আছে।

  • ২.পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গুলোতেও সর্বনিম্ন তিন থেকে চারদিন বিরতি থাকে। এছাড়াও গত বছর অনুষ্ঠিত অনার্স ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষার মাঝেও ছিল যথেষ্ট বিরতি।

  • ৩. ফাইনাল ইয়ারের সিলেবাস এমনিতেই অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কিন্তু যারা ইমপ্রুভ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তারা কিভাবে একদিনে এত বড় সিলেবাস রিভিশন করতে পারবে এটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।

এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের বক্তব্যে রুটিন পরিবর্তন এর স্বপক্ষে নানারকম যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করে। এটা শুধু সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের দাবি না এ দাবিতে একমত হয়ে সাড়া দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধ্যয়নরত সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন যে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা এবং মুজিব বর্ষ কে যথাযথ সম্মান জানিয়ে তাদের এই যুক্তি দাবি মেনে নেয়া হয়।

অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সরকারি আজিজুল হক কলেজে মানববন্ধন

প্রকাশিত সময় ০৪:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মহিউদ্দিন নিশাত, বগুড়াঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের (২০১৫-২০১৬ )সেশন এর ফাইনাল পরীক্ষার অযৌক্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত রুটিন পরিবর্তন ও সংশোধনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে দাবি করছে। এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় তারা আন্দোলনে নেমেছে। ইতিমধ্যে অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে চতুর্থ বর্ষের অনেকেরই মান উন্নয়ন পরীক্ষা থাকার কারণে তাদের একসঙ্গে দুই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার মধ্যে তেমন কোন বিরতি না থাকায় অনেকেই মানোন্নয়ন পরীক্ষা আবারো খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।

এছাড়াও চতুর্থ বর্ষের প্রতিটি পরীক্ষার মধ্যে একদিনের বেশি বিরতি না থাকায় ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছে। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের রুটিন পরিবর্তন এর স্বপক্ষে বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি পেশ করেছেন।

দাবিগুলো হলোঃ

  • ১.অনেকেরই ২২ও ২৫ তারিখে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা আছে। কিন্তু তার একদিন পরেই চতুর্থ শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। অনার্স ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা একদিনের প্রস্তুতিতে কিভাবে দেওয়া সম্ভব এই নিয়ে তারা সংখ্যায় আছে।

  • ২.পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গুলোতেও সর্বনিম্ন তিন থেকে চারদিন বিরতি থাকে। এছাড়াও গত বছর অনুষ্ঠিত অনার্স ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষার মাঝেও ছিল যথেষ্ট বিরতি।

  • ৩. ফাইনাল ইয়ারের সিলেবাস এমনিতেই অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কিন্তু যারা ইমপ্রুভ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তারা কিভাবে একদিনে এত বড় সিলেবাস রিভিশন করতে পারবে এটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।

এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের বক্তব্যে রুটিন পরিবর্তন এর স্বপক্ষে নানারকম যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করে। এটা শুধু সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের দাবি না এ দাবিতে একমত হয়ে সাড়া দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধ্যয়নরত সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন যে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা এবং মুজিব বর্ষ কে যথাযথ সম্মান জানিয়ে তাদের এই যুক্তি দাবি মেনে নেয়া হয়।