ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

২ হাজার ৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ভৌত সুরক্ষা চুক্তি সম্পাদন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
  • / 170

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ রাশিয়ার জেএসসি কোম্পানি এলরনের সাথে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভৌত সুরাব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ চুক্তি শুক্রবার বিকেলে সম্পাদিত হয়েছে।

রাশিয়ার এই কোম্পানির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পাবনার রূপপুর প্রকল্পের ‘পারমাণবিক নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা সেল এর (এনএসপিসি) মধ্যে এই চুক্তিটি হয়। ২ হাজার ৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে রাশিয়ার কোম্পানি জেএসসি এলরন কোম্পানি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ করে দেবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের সর্ববৃহৎ ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। রাশিয়ার নিকট থেকে ঋণ হিসেবে ৯০ ভাগ অর্থের সংস্থান হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে বাকি ১০ ভাগ।

২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ’ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। পিপিএস প্রকল্পটি রূপপুর পারমাণিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নকশা ভিত্তিক ও বাহ্যিক হুমকি মোকাবিলা করবে। নিরাপদ ও সুরক্ষিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সংবেদনশীল তথ্য ব্যবস্থাপনা এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করেছে। দুই দেশের সরকারের চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার কোম্পানি এলরন এই নিরাপত্তা প্রকল্প নির্মাণের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, এসএসপিসি ও রাশিয়ার এলরনের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুক্রবার এই চুক্তি সম্পাদিত হয়।

চুক্তিতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে পিপিএস নির্মাণকাজ শেষ করার কথা বলা হযেছে। চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আনোয়ার হোসেন, এনএসপির প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আখতার শহীদ, রাশিয়ার রোসাটমের মহাপরিচালক, কনস্টানটিন দেনিসভ, এলরনের মহাপরিচালক অ্যান্দ্রে মুরাভিয়েভসহ রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) সাথে বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। অপরদিকে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির উপর ভিত্তি করে গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

২০১৬ সাল থেকে থার্ড জেনারেশনের ভিভিইআর প্রযুক্তির ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি ইউনিটে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পূর্ণোদ্যমে চলছে। কাজ শেষ করে ২০২৪ সালে এই প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা রয়েছে।

২ হাজার ৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ভৌত সুরক্ষা চুক্তি সম্পাদন

প্রকাশিত সময় ০১:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ রাশিয়ার জেএসসি কোম্পানি এলরনের সাথে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভৌত সুরাব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ চুক্তি শুক্রবার বিকেলে সম্পাদিত হয়েছে।

রাশিয়ার এই কোম্পানির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পাবনার রূপপুর প্রকল্পের ‘পারমাণবিক নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা সেল এর (এনএসপিসি) মধ্যে এই চুক্তিটি হয়। ২ হাজার ৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে রাশিয়ার কোম্পানি জেএসসি এলরন কোম্পানি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ করে দেবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের সর্ববৃহৎ ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। রাশিয়ার নিকট থেকে ঋণ হিসেবে ৯০ ভাগ অর্থের সংস্থান হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে বাকি ১০ ভাগ।

২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ’ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। পিপিএস প্রকল্পটি রূপপুর পারমাণিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নকশা ভিত্তিক ও বাহ্যিক হুমকি মোকাবিলা করবে। নিরাপদ ও সুরক্ষিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সংবেদনশীল তথ্য ব্যবস্থাপনা এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করেছে। দুই দেশের সরকারের চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার কোম্পানি এলরন এই নিরাপত্তা প্রকল্প নির্মাণের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, এসএসপিসি ও রাশিয়ার এলরনের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুক্রবার এই চুক্তি সম্পাদিত হয়।

চুক্তিতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে পিপিএস নির্মাণকাজ শেষ করার কথা বলা হযেছে। চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আনোয়ার হোসেন, এনএসপির প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আখতার শহীদ, রাশিয়ার রোসাটমের মহাপরিচালক, কনস্টানটিন দেনিসভ, এলরনের মহাপরিচালক অ্যান্দ্রে মুরাভিয়েভসহ রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) সাথে বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। অপরদিকে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির উপর ভিত্তি করে গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

২০১৬ সাল থেকে থার্ড জেনারেশনের ভিভিইআর প্রযুক্তির ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি ইউনিটে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পূর্ণোদ্যমে চলছে। কাজ শেষ করে ২০২৪ সালে এই প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা রয়েছে।