ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত ও ২ জন আহত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০২০
  • / 180

কামরান পারভেজ ইভান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে বাসের চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত ও চালক সহ ২ জন আহত।

শুক্রবার ২১ আগস্ট দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস রাবনা মোড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সৈকত পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটো রিকশার সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে ও ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত সবাইকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। আহতদের ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি সময় আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ভদ্র শিমুল দক্ষিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মো: আলআমিন (৫৪), তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শিউলি খাতুন (৪২), নিহত আল আমিনের বাবা মো. সোহরাব আলী (৭৫), ও মা সালেহা বেগম (৭০)।

এ দুর্ঘটনায় আল আমিনের বোন হাজেরা বেগম (৩৩) ও অটোরিক্সার চালক ফেরদৌস (৪৫) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নিহতরা ভূঞাপুর উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত আলামীনের দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে আশা খাতুন দশম শ্রেণীতে এবং ছোট মেয়ে আখি খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।

হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, বাসটিকে তারা আটক করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

নিহত আলামীনের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সবাই টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছিল। দুপুর ১২ টার দিকে এক পুলিশ সদস্য আলামীন ভাইয়ের ফোন থেকে আমাকে দুর্ঘটনার খবর জানান।

দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, ভূঞাপুর থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যগণ টাঙ্গাইল শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দুপুর ১২ টার দিকে শহরের প্রবেশ পথে রাবনা বাইপাস মোড় অতিক্রম করতে গেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সৈকত পরিবহনের বাস সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা বাসটিকে আটক করলেও বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলে শিউলি খাতুনের মৃত্যু হয়। পরে বাকিদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা নিতে বলেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতির সময় আল আমিন, সোহরাব আলী ও সালেহা বেগম মারা যান।

টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত ও ২ জন আহত

প্রকাশিত সময় ০৭:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০২০

কামরান পারভেজ ইভান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে বাসের চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত ও চালক সহ ২ জন আহত।

শুক্রবার ২১ আগস্ট দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস রাবনা মোড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সৈকত পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটো রিকশার সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে ও ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত সবাইকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। আহতদের ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি সময় আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ভদ্র শিমুল দক্ষিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মো: আলআমিন (৫৪), তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শিউলি খাতুন (৪২), নিহত আল আমিনের বাবা মো. সোহরাব আলী (৭৫), ও মা সালেহা বেগম (৭০)।

এ দুর্ঘটনায় আল আমিনের বোন হাজেরা বেগম (৩৩) ও অটোরিক্সার চালক ফেরদৌস (৪৫) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নিহতরা ভূঞাপুর উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত আলামীনের দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে আশা খাতুন দশম শ্রেণীতে এবং ছোট মেয়ে আখি খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।

হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, বাসটিকে তারা আটক করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

নিহত আলামীনের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সবাই টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছিল। দুপুর ১২ টার দিকে এক পুলিশ সদস্য আলামীন ভাইয়ের ফোন থেকে আমাকে দুর্ঘটনার খবর জানান।

দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, ভূঞাপুর থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যগণ টাঙ্গাইল শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দুপুর ১২ টার দিকে শহরের প্রবেশ পথে রাবনা বাইপাস মোড় অতিক্রম করতে গেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সৈকত পরিবহনের বাস সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা বাসটিকে আটক করলেও বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলে শিউলি খাতুনের মৃত্যু হয়। পরে বাকিদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা নিতে বলেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতির সময় আল আমিন, সোহরাব আলী ও সালেহা বেগম মারা যান।