নিরাপত্তা নেই হাসপাতালেও, চিকিৎসা নিতে আসা চাটখিল সরকারি হাসপাতালে নারী রোগীদের আতংকে থাকতে হয়। চাটখিলে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে রোগীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা।

গত ২/৩ দিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে চাটখিল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটে ও মাদকাসক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনি (৩৫)।

নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সানজিদা আক্তার (২৪) গত ১৯ জুলাুই সকাল ৭ টায় জ্বর ও সর্দিকাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, যাহার রেজিঃ নাম্বার ৩৮৩/০১। ২০ জুলাই দুপুর ১২ টায় ডাক্তার পরিচয়ে বখাটে মঞ্জুরুল হায়দার জনি তার কেবিনে প্রবেশ করে, রোগীর শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে যৌন হয়রানি করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। রোগী সানজিদা আক্তার চিৎকার করলে বখাটে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

মঞ্জররুল হায়দার জনির ভাই ডাক্তার মনিরুল হায়দার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাক হওয়া রোগীদের অযথা পরিক্ষা নিরিক্ষার দিয়ে তার ছোট ভাইকে দিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরন করে রোগীদের হয়রানি ও অধিক অর্থ আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই ব্যাপারে চাটখিল উপজেলা সরকারি হাসপাতালে আরএমও ডাক্তার শহীদুল ইসলাম নয়নের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চাটখিল সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার তাহমিনা আক্তার সুবর্না বাদী হয়ে মঞ্জুরুল হায়দার জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এজহার দায়ের করেন।

এবং চার সদস্য তদন্ত কমিটি ডাক্তার তানজিনা হক জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সভাপতি), ডাক্তার ইকরাম বিন ফারুক (মেডিকেল অফিসার), আয়েশা আক্তার (নাসিং সুপার ভাইজার), ডাক্তার শহীদুল ইসলাম নয়ন (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) গঠন করা হয়েছে।

চাটখিল থানা অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জানান, এ ঘটনা এজহার করে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান। উল্লেখ্য যে এর আগেও চাটখিল সরকারি হাসপাতালে এমন অভিযোগে ডাক্তার বহিষ্কার করা হয়েছে।