ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আনতে কমিটি গঠন
রুশ সংস্থা রজনেফ্ট’র প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে চেয়েছেন আলোচনা চূড়ান্ত করতে।

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 91
সমুদ্রে রাশিয়ার তেলবোঝাই কার্গো। ছবি: রয়টার্স

বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, আগষ্ট ১৭, ২০২২


এর আগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, কিন্তু তা কিনতে বাংলাদেশ রাজি হয়নি। এবার দিয়েছে পরিশোধিত তেলের প্রস্তাব, আর তা কিনতে আলোচনা শুরু করছে বাংলাদেশ।

ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রাশিয়া থেকে তেল কেনার উপায় খুঁজতে মঙ্গলবারই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একদিন বাদে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সঙ্কটের এই সময়ে তেল কিনতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসিকে এই আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আলোচনা করছে।”

গত মে মাসে রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিলে ওই তেল বাংলাদেশের রিফাইনারিতে পরিশোধনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল।

এরপর গত সপ্তাহে বাংলাদেশের কাছে পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট। তাদের প্রস্তাব যাচাই করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।

রাশিয়ার তেল বাংলাদেশে পরিশোধন উপযোগী নয়: প্রতিমন্ত্রী

বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “উনারা (রাশিয়া) প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা ঢাকায় আসতে বলেছি। উনারা আসলে আমরা বসব।”

রজনেফ্ট’র প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে চেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে অনেক বিষয় আসে। যেমন- কোন প্রক্রিয়ায় আসবে, জাহাজ ভাড়া কত পড়বে, কোন মুদ্রায়, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট হবে, কতদিনের মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে হবে- এ ধরনের অনেক বিষয় আছে।

“উনারা আসলে আমরা বসে ঠিক করব। তারা বলেছেন, আসবে। যেটাই হোক, আমাদের উইন উইন সিচুয়েশন হতে হবে।”

যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বাড়তে থাকলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনতে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত। সৌদি আরবও রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে বলে খবর বেরিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে রাশিয়ার তেল অপেক্ষাকৃত সস্তায় পাওয়া যায়।

কিছু দিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বড় দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল কিনতে সাহসী হলেও বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য তা সহজ নয়।

এর মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কীভাবে আমদানি করা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপায় খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার একনেক সভায় নির্দেশ দেন।

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করা গেলে বিনিময় মুদ্রা কী হবে, সে বিষয়েও একটি সমাধান খুঁজে বের করতেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৬১ লাখ টনের বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে। এরমধ্যে তিন-চতুর্থাংশই পরিশোধিত তেল। অপরিশোধিত তেল কিনে দেশে এনে পরিশোধন করলে অর্থ বাঁচবে এজন্য অনেকদিন থেকেই দেশের দ্বিতীয় রিফাইনারি করার তাগাদা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে তেল ও গ্যাস আমদানির কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধাক্কা লেগেছে। বহুদিন পর ফিরে এসেছে লোডশেডিং।

‘দাম কম হলে কেন কিনব না’

রাশিয়া থেকে কম দামে পরিশোধিত তেল পাওয়া গেলে তা কেনার পক্ষে জ্বালানি নীতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আনতে কমিটি গঠন
রুশ সংস্থা রজনেফ্ট’র প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে চেয়েছেন আলোচনা চূড়ান্ত করতে।

প্রকাশিত সময় ০৯:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
সমুদ্রে রাশিয়ার তেলবোঝাই কার্গো। ছবি: রয়টার্স

বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, আগষ্ট ১৭, ২০২২


এর আগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, কিন্তু তা কিনতে বাংলাদেশ রাজি হয়নি। এবার দিয়েছে পরিশোধিত তেলের প্রস্তাব, আর তা কিনতে আলোচনা শুরু করছে বাংলাদেশ।

ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রাশিয়া থেকে তেল কেনার উপায় খুঁজতে মঙ্গলবারই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একদিন বাদে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সঙ্কটের এই সময়ে তেল কিনতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসিকে এই আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আলোচনা করছে।”

গত মে মাসে রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিলে ওই তেল বাংলাদেশের রিফাইনারিতে পরিশোধনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল।

এরপর গত সপ্তাহে বাংলাদেশের কাছে পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট। তাদের প্রস্তাব যাচাই করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।

রাশিয়ার তেল বাংলাদেশে পরিশোধন উপযোগী নয়: প্রতিমন্ত্রী

বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “উনারা (রাশিয়া) প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা ঢাকায় আসতে বলেছি। উনারা আসলে আমরা বসব।”

রজনেফ্ট’র প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে চেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে অনেক বিষয় আসে। যেমন- কোন প্রক্রিয়ায় আসবে, জাহাজ ভাড়া কত পড়বে, কোন মুদ্রায়, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট হবে, কতদিনের মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে হবে- এ ধরনের অনেক বিষয় আছে।

“উনারা আসলে আমরা বসে ঠিক করব। তারা বলেছেন, আসবে। যেটাই হোক, আমাদের উইন উইন সিচুয়েশন হতে হবে।”

যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বাড়তে থাকলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনতে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত। সৌদি আরবও রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে বলে খবর বেরিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে রাশিয়ার তেল অপেক্ষাকৃত সস্তায় পাওয়া যায়।

কিছু দিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বড় দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল কিনতে সাহসী হলেও বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য তা সহজ নয়।

এর মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কীভাবে আমদানি করা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপায় খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার একনেক সভায় নির্দেশ দেন।

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করা গেলে বিনিময় মুদ্রা কী হবে, সে বিষয়েও একটি সমাধান খুঁজে বের করতেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৬১ লাখ টনের বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে। এরমধ্যে তিন-চতুর্থাংশই পরিশোধিত তেল। অপরিশোধিত তেল কিনে দেশে এনে পরিশোধন করলে অর্থ বাঁচবে এজন্য অনেকদিন থেকেই দেশের দ্বিতীয় রিফাইনারি করার তাগাদা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে তেল ও গ্যাস আমদানির কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধাক্কা লেগেছে। বহুদিন পর ফিরে এসেছে লোডশেডিং।

‘দাম কম হলে কেন কিনব না’

রাশিয়া থেকে কম দামে পরিশোধিত তেল পাওয়া গেলে তা কেনার পক্ষে জ্বালানি নীতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ