ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিরামপুরে আলুর বাম্পার ফলনের আশায় ক্ষেতের পরিচর্যায় ব‍্যস্ত কৃষকরা

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০১:০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 80

আলুর বাম্পা ফলনের আশায় বিরামপুরের কৃষকরা ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


আলুর বাম্পার ফলনের আশায় ক্ষেতের পরিচর্যায় ব‍্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের কৃষকরা।

সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কৃষকরা আলু ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাছা পরিষ্কার, আলু গাছের সারিতে মাটি তুলে দেয়া ও সরিয়ে দেওয়ার কাজ করছেন কৃষক। 

কৃষকরা জানান, পুরনো আলু বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু আরো বেশি দামে বিক্রি হবে। এ জন্য তারা বেশি লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকেছেন।

উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের আলু চাষি আজিজুল ইসলাম বলেন, এবছর ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করছি। আলুর গাছগুলি খুব সুন্দর হইছে। ক্ষেতের ঘাস পরিষ্কার করছি। আশা করছি এইবার আলুর ভালো ফলন পাবো।

মুকুন্দপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ২৫ শতক জমিতে আলুর চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত আলুর গাছ খুব ভালো। আশা করি ফলনও ভালো হবে।

বালুপাড়া গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর গাছ খুব সুন্দর হইছে। কোন রোগবালাই নেই। শেষ এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

উপজলো কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১হাজার ৬শত ৫০হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১এক হাজার ৫ শো হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, আলু চাষের জন্য এ অঞ্চলের মাটি উপযোগী হওয়ায় প্রান্তিক চাষিরা আলুর চাষাবাদ করছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ১ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। 

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত আলু ক্ষেতে তেমন কোন রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে না। কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে আলুর ক্ষেত সারাক্ষণ দেখভাল করছেন।

এই রকম আরও টপিক

বিরামপুরে আলুর বাম্পার ফলনের আশায় ক্ষেতের পরিচর্যায় ব‍্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশিত সময় ০১:০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

আলুর বাম্পার ফলনের আশায় ক্ষেতের পরিচর্যায় ব‍্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের কৃষকরা।

সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কৃষকরা আলু ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাছা পরিষ্কার, আলু গাছের সারিতে মাটি তুলে দেয়া ও সরিয়ে দেওয়ার কাজ করছেন কৃষক। 

কৃষকরা জানান, পুরনো আলু বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু আরো বেশি দামে বিক্রি হবে। এ জন্য তারা বেশি লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকেছেন।

উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের আলু চাষি আজিজুল ইসলাম বলেন, এবছর ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করছি। আলুর গাছগুলি খুব সুন্দর হইছে। ক্ষেতের ঘাস পরিষ্কার করছি। আশা করছি এইবার আলুর ভালো ফলন পাবো।

মুকুন্দপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ২৫ শতক জমিতে আলুর চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত আলুর গাছ খুব ভালো। আশা করি ফলনও ভালো হবে।

বালুপাড়া গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর গাছ খুব সুন্দর হইছে। কোন রোগবালাই নেই। শেষ এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

উপজলো কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১হাজার ৬শত ৫০হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১এক হাজার ৫ শো হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, আলু চাষের জন্য এ অঞ্চলের মাটি উপযোগী হওয়ায় প্রান্তিক চাষিরা আলুর চাষাবাদ করছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ১ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। 

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত আলু ক্ষেতে তেমন কোন রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে না। কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে আলুর ক্ষেত সারাক্ষণ দেখভাল করছেন।