ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

এবার জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে টাইফুন ‘খানুন’

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / 40

টাইফুন ‘ডকসুরি’র প্রভাব শেষ হতে না হতেই প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হয়েছে আরও একটি টাইফুন তথা ঘূর্ণিঝড়। জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে ধেয়ে আসছে ‘খানুন’ নামে শক্তিশালী ও বড় আকারের এ ঝড়টি। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট তৃতীয় কোন ঘূর্ণিঝড়টি এটি।

আগামী বুধবারের (২ আগস্ট) মধ্যে এটি সুপার টাইফুনে রূপ নিয়ে জাপানের ওকিনাওয়া প্রিফেকচারে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এরপর বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে এটি পূর্ব দক্ষিণ সাগরে প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে ‘টাইফুন’ বলা হয়। চীন, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স ও জাপানে প্রায় প্রতিবছর একাধিক টাইফুন আঘাত হানে। গত সপ্তাহে প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ডকসুরি’। এরপর এটা সুপার টাইফুনে রূপ নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে প্রথমে ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চলে ফুগা দ্বীপে আঘাত হানে।

এর প্রভাবে ফিলিপিন্সের বহু এলাকা প্লাবিত হয়। একইসঙ্গে দেখা দেয় ভূমিধস। অনেককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হলেও দেশটিতে টাইফুনের আঘাতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়। ঘরছাড়া হয়ে পড়ে বহু মানুষ। 

এরপর ডকসুরি কিছুটা দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯১ কিলোমিটার গতিতে তাইওয়ানে আছড়ে পড়ে। পরদিন তথা শুক্রবার (২৮ জুলাই) এটি চীনের পূর্বাঞ্চলে পৌঁছায়।

ডকসুরির প্রভাবে চীনের রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটিতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।  

এরই মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে আরও একটি টাইফুন সৃষ্টি হয়ে তা জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে। সোমবার (৩১ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা পর্যন্ত টাইফুনটি জাপানি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে একটি এলাকায় অবস্থান করছিল। এ সময় ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯৮ কিলোমিটার গতিতে বাতাস রেকর্ড করা হয়।

সিএএনের প্রতিবেদন মতে, এদিকে এর প্রভাবে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র বাতাস ও ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যেই জাপানের ওকিনাওয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ও আসার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। টাইফুনটি দক্ষিণ-পশ্চিম কাগোশিমা প্রিফেকচারের আমামি-ওশিমা দ্বীপের কাছেও আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।

টাইফুন খানুনের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের ভূমিধস ও বন্যার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার জোয়ারের উচ্চতা ওকিনাওয়া এলাকায় ১০ মিটার ও আমামি এলাকায় ৬ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এবার জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে টাইফুন ‘খানুন’

প্রকাশিত সময় ০২:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

টাইফুন ‘ডকসুরি’র প্রভাব শেষ হতে না হতেই প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হয়েছে আরও একটি টাইফুন তথা ঘূর্ণিঝড়। জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে ধেয়ে আসছে ‘খানুন’ নামে শক্তিশালী ও বড় আকারের এ ঝড়টি। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট তৃতীয় কোন ঘূর্ণিঝড়টি এটি।

আগামী বুধবারের (২ আগস্ট) মধ্যে এটি সুপার টাইফুনে রূপ নিয়ে জাপানের ওকিনাওয়া প্রিফেকচারে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এরপর বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে এটি পূর্ব দক্ষিণ সাগরে প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে ‘টাইফুন’ বলা হয়। চীন, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স ও জাপানে প্রায় প্রতিবছর একাধিক টাইফুন আঘাত হানে। গত সপ্তাহে প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ডকসুরি’। এরপর এটা সুপার টাইফুনে রূপ নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে প্রথমে ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চলে ফুগা দ্বীপে আঘাত হানে।

এর প্রভাবে ফিলিপিন্সের বহু এলাকা প্লাবিত হয়। একইসঙ্গে দেখা দেয় ভূমিধস। অনেককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হলেও দেশটিতে টাইফুনের আঘাতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়। ঘরছাড়া হয়ে পড়ে বহু মানুষ। 

এরপর ডকসুরি কিছুটা দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯১ কিলোমিটার গতিতে তাইওয়ানে আছড়ে পড়ে। পরদিন তথা শুক্রবার (২৮ জুলাই) এটি চীনের পূর্বাঞ্চলে পৌঁছায়।

ডকসুরির প্রভাবে চীনের রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটিতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।  

এরই মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে আরও একটি টাইফুন সৃষ্টি হয়ে তা জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে। সোমবার (৩১ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা পর্যন্ত টাইফুনটি জাপানি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে একটি এলাকায় অবস্থান করছিল। এ সময় ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯৮ কিলোমিটার গতিতে বাতাস রেকর্ড করা হয়।

সিএএনের প্রতিবেদন মতে, এদিকে এর প্রভাবে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র বাতাস ও ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যেই জাপানের ওকিনাওয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ও আসার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। টাইফুনটি দক্ষিণ-পশ্চিম কাগোশিমা প্রিফেকচারের আমামি-ওশিমা দ্বীপের কাছেও আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।

টাইফুন খানুনের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের ভূমিধস ও বন্যার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার জোয়ারের উচ্চতা ওকিনাওয়া এলাকায় ১০ মিটার ও আমামি এলাকায় ৬ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।