রাজশাহীর বাঘায় স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্বামী পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে পালিয়েছে ধর্ষক।

শনিবার ২৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে উপজেলার বাগসায়েস্থা এলাকায় প্রেমিক আমিনুল ইসলামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার বাগসায়েস্থা গ্রামের আব্দুল মানিক এর পুত্র আমিনুল ইসলাম(২২) পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার এক স্কুল ছাত্রী (১৪) কে শনিবার ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যার পর তার নিজ বাড়ি থেকে সাইকেল যোগে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে প্রেমিক আমিনুল তার প্রেমিকাকে স্ত্রী সাজিয়ে ঐ রাতে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাবিলা আক্তার জানান, তাদের মধ্যে প্রকৃত সম্পর্ক কি সেটা আমার জানা নেই। তবে রুগী ভর্তির সময় রেজিস্টারে আমিনুল ইসলাম ঐ মেয়ের স্বামী পরিচয়ে তাকে ভর্তি করেছে।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় রবিবার ২৮ এপ্রিল বিকেলে স্কুলছাত্রীর মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ধর্ষক পলাতক। আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। সোমবার সকালে বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে ছাড়পত্র করে রাজশাহী ওয়ানস্টপ ক্রাইসিচ সেন্টার (ও.সি.সি) তে ভর্তি করা হবে।