ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জলাবদ্ধতায় কৃষকের ধান পানির তলে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
  • / 51

মহসীন আলী, তাড়াশঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকের কয়েকশত বিঘা জমির ধান পানির তলে। গত কয়েকদিনে আম্ফান এর ফলে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষক মাথায় হাত দিয়ে প্রহর গুনছে আদেও ধান ঘরের আসবে কিনা। যত্রতত্র পুকুর খনন করার ফলে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পরায় তলিয়ে গিয়েছে ধান। ফলে শেষ মুহূর্তে ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।

জানা গেছে, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সগুনা, দিঘী, কামাড়শোন, মাকশোন ও কুন্দইল, কুশাবাড়ি ও মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়াবিনোদ, শ্যামপুর ও সবুজপাড়া গ্রামের মাঠগুলোতে শতশত বিঘা জমির ধান এখন পানির তলে।

কৃষকরা জানান, চলনবিলের বেশ এলাকায় ধানের জমি পানির নীচে। শ্রমিক সংকটের কারণে বিলের উঁচু এলাকার জমির ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। এদিকে পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধানে শিকর বের হচ্ছে। কেহ কেহ শ্রমিকের উপেক্ষা করে কোমর পানিতে নেমে ধান কাটছেন। আবার কেউ কেউ নৌকা যোগে ধান কেটে বাঁধে নিয়ে এসে মাড়াই করছেন। আবার যেসব কৃষকের ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে তারা ফসলের আশা ছেড়ে দিয়ে হতাশায় ভুগছেন।

শ্র্যামপুর গ্রামের কৃষক কাশেম আলী ও জালাল মিয়া জানান , এ বছর আমাদের সরিষা আবাদের কারনে ধান লাগাতে একটু দেরি হলেও আল্লাহর রহমতে খুব ভাল ধান হয়েছিল । কিন্তু যত্রতত্র পুকুর খনন করার কারনে বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নিস্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা হয়ে ধান এখন পানির নিচে থাকায় একমুঠো ধান কেটে বাড়ি তুলতে পারি নাই।

আমবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর হাকিম ও আফসার আলী জানান, গ্রামের দক্ষিন পশ্চিম মাঠে প্রথম থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো প্রত্যাশা করছিলামা। ফসল ঘরে তোলার আগেই গত কয়েকদিন বৃষ্টি ও ঝড় হাওয়ার কারনে ধান মাটিতে নুয়ে পরায় ধান কাটার মত কোন অবকাশ নাই। এখন আমরা কি করবো। আমাদের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে গেছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে।। প্রসাশনের সাথে কথা বলে দু’একদিনের মধ্যে পানি নিস্কাশনের প্রক্রিয়া করা হবে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জলাবদ্ধতায় কৃষকের ধান পানির তলে

প্রকাশিত সময় ০৭:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০

মহসীন আলী, তাড়াশঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকের কয়েকশত বিঘা জমির ধান পানির তলে। গত কয়েকদিনে আম্ফান এর ফলে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষক মাথায় হাত দিয়ে প্রহর গুনছে আদেও ধান ঘরের আসবে কিনা। যত্রতত্র পুকুর খনন করার ফলে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পরায় তলিয়ে গিয়েছে ধান। ফলে শেষ মুহূর্তে ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।

জানা গেছে, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সগুনা, দিঘী, কামাড়শোন, মাকশোন ও কুন্দইল, কুশাবাড়ি ও মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়াবিনোদ, শ্যামপুর ও সবুজপাড়া গ্রামের মাঠগুলোতে শতশত বিঘা জমির ধান এখন পানির তলে।

কৃষকরা জানান, চলনবিলের বেশ এলাকায় ধানের জমি পানির নীচে। শ্রমিক সংকটের কারণে বিলের উঁচু এলাকার জমির ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। এদিকে পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধানে শিকর বের হচ্ছে। কেহ কেহ শ্রমিকের উপেক্ষা করে কোমর পানিতে নেমে ধান কাটছেন। আবার কেউ কেউ নৌকা যোগে ধান কেটে বাঁধে নিয়ে এসে মাড়াই করছেন। আবার যেসব কৃষকের ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে তারা ফসলের আশা ছেড়ে দিয়ে হতাশায় ভুগছেন।

শ্র্যামপুর গ্রামের কৃষক কাশেম আলী ও জালাল মিয়া জানান , এ বছর আমাদের সরিষা আবাদের কারনে ধান লাগাতে একটু দেরি হলেও আল্লাহর রহমতে খুব ভাল ধান হয়েছিল । কিন্তু যত্রতত্র পুকুর খনন করার কারনে বৃষ্টির পানি খাল দিয়ে নিস্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা হয়ে ধান এখন পানির নিচে থাকায় একমুঠো ধান কেটে বাড়ি তুলতে পারি নাই।

আমবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর হাকিম ও আফসার আলী জানান, গ্রামের দক্ষিন পশ্চিম মাঠে প্রথম থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো প্রত্যাশা করছিলামা। ফসল ঘরে তোলার আগেই গত কয়েকদিন বৃষ্টি ও ঝড় হাওয়ার কারনে ধান মাটিতে নুয়ে পরায় ধান কাটার মত কোন অবকাশ নাই। এখন আমরা কি করবো। আমাদের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে গেছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে।। প্রসাশনের সাথে কথা বলে দু’একদিনের মধ্যে পানি নিস্কাশনের প্রক্রিয়া করা হবে।