ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের সিমলাতে যমুনার তান্ডবলীলা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:১৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
  • / 71

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন। শুক্রবার দুপুর থেকে সদর উপজেলার সিমলা ও পাঁচঠাকুরি এলাকার প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এই ভাঙ্গনের ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর।

জানা যায়, সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সিমলা-পাঁচঠাকুরী স্পারে ১ জুন ধ্বস নামে। প্রায় ৭০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালির বস্তা ফেলে কোন রকমে বাঁধটি সংস্কার করা হলেও তিন সপ্তাহের মাথায় স্পারের মুল স্যাংক সহ অধিকাংশ এলাকা নদী গর্ভে চলে যায়। এর পর থেকেই মাঝে মাঝে এই এলাকায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে থাকে একর পর এক বাড়ি ঘর গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা।

গত শুক্রবার হটাৎ করে শুরু হয় ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা। শনিবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মাদ্রাসা আসবাবপত্র, গবাদি পশু, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় ভাঙ্গন কবলিতদের আহাজারি ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না। যমুনার কড়াল গ্রাসে বসতভিটা হারা অনেকে মাথা গোজার ঠাই ঘুঁজছে। ভাঙ্গন আতংকে ঘড়বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অনেকে।

যমুনার আকস্মিক ভাঙ্গনে সহায় সম্বল আর মাথা গোজার শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের খোলা আকাশের নিচে, এ যেনো এক অবর্ননীয় দুর্ভোগ। স্থানীয়রা বলছেন এমন তীব্র ভাঙ্গন এর আগে কখনো দেখেনি তারা। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ কোন রকমে তাদের সহায় সম্বল বাঁচানোর জন্য শেষ চেষ্টা করতে দেখা যায়। বাড়ি-ঘর, সহায়,সম্বল হারিয়ে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কান্না করতে দেখা যায়।

ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বলেন, এই রকম নদী ভাঙ্গন আগে কখনো দেখেননি। নদী ভাঙ্গনের কারনে শত শত মানুষ গৃহহীন ও নিঃস্ব হয়ে গেলো।

এদিকে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়র বলেন, দীর্ঘদিনের পুরোনা স্পার বাঁধটি নিয়মিত মনিটরিং না করার কারণে এমনটি হয়েছে। তিনি এলাকাবাসিকে ধৈর্য্য ধরে পাউবোর কাজে সহযোগিতা করার অনুরোধসহ আগামিতে পুরো বাঁধ এলাকা স্থায়ী ভাবে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহম্মদ, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসিম কুমার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দীপু, ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শহিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জের সিমলাতে যমুনার তান্ডবলীলা

প্রকাশিত সময় ০৭:১৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন। শুক্রবার দুপুর থেকে সদর উপজেলার সিমলা ও পাঁচঠাকুরি এলাকার প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এই ভাঙ্গনের ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর।

জানা যায়, সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সিমলা-পাঁচঠাকুরী স্পারে ১ জুন ধ্বস নামে। প্রায় ৭০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালির বস্তা ফেলে কোন রকমে বাঁধটি সংস্কার করা হলেও তিন সপ্তাহের মাথায় স্পারের মুল স্যাংক সহ অধিকাংশ এলাকা নদী গর্ভে চলে যায়। এর পর থেকেই মাঝে মাঝে এই এলাকায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে থাকে একর পর এক বাড়ি ঘর গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা।

গত শুক্রবার হটাৎ করে শুরু হয় ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা। শনিবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মাদ্রাসা আসবাবপত্র, গবাদি পশু, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় ভাঙ্গন কবলিতদের আহাজারি ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না। যমুনার কড়াল গ্রাসে বসতভিটা হারা অনেকে মাথা গোজার ঠাই ঘুঁজছে। ভাঙ্গন আতংকে ঘড়বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অনেকে।

যমুনার আকস্মিক ভাঙ্গনে সহায় সম্বল আর মাথা গোজার শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের খোলা আকাশের নিচে, এ যেনো এক অবর্ননীয় দুর্ভোগ। স্থানীয়রা বলছেন এমন তীব্র ভাঙ্গন এর আগে কখনো দেখেনি তারা। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ কোন রকমে তাদের সহায় সম্বল বাঁচানোর জন্য শেষ চেষ্টা করতে দেখা যায়। বাড়ি-ঘর, সহায়,সম্বল হারিয়ে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কান্না করতে দেখা যায়।

ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বলেন, এই রকম নদী ভাঙ্গন আগে কখনো দেখেননি। নদী ভাঙ্গনের কারনে শত শত মানুষ গৃহহীন ও নিঃস্ব হয়ে গেলো।

এদিকে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়র বলেন, দীর্ঘদিনের পুরোনা স্পার বাঁধটি নিয়মিত মনিটরিং না করার কারণে এমনটি হয়েছে। তিনি এলাকাবাসিকে ধৈর্য্য ধরে পাউবোর কাজে সহযোগিতা করার অনুরোধসহ আগামিতে পুরো বাঁধ এলাকা স্থায়ী ভাবে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহম্মদ, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসিম কুমার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দীপু, ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শহিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।