ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে টেকনোলজিষ্ট না থাকলেও রিপোর্ট দিচ্ছে জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০
  • / 167

মহসীন আলী, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেকনোলজিস্ট না থাকলেও যে রোগী যায় রিপোর্ট পায়। তাড়াশ হাসপাতালের গেট সংলগ্ন জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার টেকনোলজিস্টের স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, গত কয়েক দিন থেকে ঈদের ছুটিতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত টেকনোলজিস্ট শারমিন জাহান থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে গত ২ আগস্ট থেকে বিভিন্ন রোগীকে নানা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে।

ভাদাস গ্রামে রোগী মজনু আলী বলেন, আমার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য গেলে তারা কিছুক্ষন পর রির্পোট দেয়। এ সময় ভেতরে গিয়ে দেখি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। তখন প্রশ্ন করলে পিয়ন তৈয়ব বলে কোন সমস্যা নেই। এছাড়া রিপোর্টে আমার বয়স ৩৫ বছর বললে তারা একবার ৫০ বছর লিখে দেয়। তখন আবারও ভুল হয়েছে জানালে আবারো ৩৪ বছর লিখে দেয়।

এ ঘটনায় তাড়াশ পৌর এলাকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকার পরেও জনতা ডায়গনষ্টিক সেন্টার কিভাবে রিপোর্ট দেয়। সেখানে আমরা অনেকেই গিয়ে টেকনোলজিস্টকে খুজে পাই নি। তারা সীল-স্বাক্ষর নকল করে রির্পোট দিচ্ছে।

জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শারমিন জাহান বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে আছি। কিভাবে ভুয়া রিপোর্ট তৈরী করে আমার নামের জাল সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে ঐ মালিক আমার জানা নেই।

জনতা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক হায়দার আলী বলেন, ডিপ্লোমা টেকনোলজিষ্ট শারমিন জাহান ছিল না কিন্তু টেকনিশিয়ান তৈয়ব আলী ছিল। হয়তো সেই ডিপ্লোমা টেকনোলজিষ্ট শারমিন জাহান এর নামে রির্পোট দিয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জামাল মিঞা শোভন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ওই জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে।

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তাদের সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে টেকনোলজিষ্ট না থাকলেও রিপোর্ট দিচ্ছে জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার

প্রকাশিত সময় ০৫:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০

মহসীন আলী, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেকনোলজিস্ট না থাকলেও যে রোগী যায় রিপোর্ট পায়। তাড়াশ হাসপাতালের গেট সংলগ্ন জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার টেকনোলজিস্টের স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, গত কয়েক দিন থেকে ঈদের ছুটিতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত টেকনোলজিস্ট শারমিন জাহান থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে গত ২ আগস্ট থেকে বিভিন্ন রোগীকে নানা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে।

ভাদাস গ্রামে রোগী মজনু আলী বলেন, আমার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য গেলে তারা কিছুক্ষন পর রির্পোট দেয়। এ সময় ভেতরে গিয়ে দেখি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। তখন প্রশ্ন করলে পিয়ন তৈয়ব বলে কোন সমস্যা নেই। এছাড়া রিপোর্টে আমার বয়স ৩৫ বছর বললে তারা একবার ৫০ বছর লিখে দেয়। তখন আবারও ভুল হয়েছে জানালে আবারো ৩৪ বছর লিখে দেয়।

এ ঘটনায় তাড়াশ পৌর এলাকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকার পরেও জনতা ডায়গনষ্টিক সেন্টার কিভাবে রিপোর্ট দেয়। সেখানে আমরা অনেকেই গিয়ে টেকনোলজিস্টকে খুজে পাই নি। তারা সীল-স্বাক্ষর নকল করে রির্পোট দিচ্ছে।

জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শারমিন জাহান বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে আছি। কিভাবে ভুয়া রিপোর্ট তৈরী করে আমার নামের জাল সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে ঐ মালিক আমার জানা নেই।

জনতা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক হায়দার আলী বলেন, ডিপ্লোমা টেকনোলজিষ্ট শারমিন জাহান ছিল না কিন্তু টেকনিশিয়ান তৈয়ব আলী ছিল। হয়তো সেই ডিপ্লোমা টেকনোলজিষ্ট শারমিন জাহান এর নামে রির্পোট দিয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জামাল মিঞা শোভন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ওই জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে।

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তাদের সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।