ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি বানিয়াগাঁতী স্কুল ও কলেজে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে টালমাটাল অবস্থা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:২৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • / 95

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জ বেলকুচির বানিয়াগাঁতী এস এম একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে পালন করতে দেয়া হয়নি ১৫ আগষ্টে জাতীয় শোক দিবস। উত্তোলন হয়নি জাতীয় ও কালো পতাকা, হয়নি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর আলোচনা ও দোয় মাহফিল। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কলেজে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি অধ্যক্ষকে। তবে কলেজ চত্বরের বাইরে মাইক লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় একটি চক্র এমটাই অভিযোগ স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের।

ঘটনার বিবরনে ও লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, গত ৪ মার্চ কলেজে দুজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এতে বানিয়াগাঁতী গ্রামের ৭ জন প্রার্থী অংশনেয় এই পরিক্ষায়। কিন্তু ১২ মার্চ দুজন প্রার্থীকে চুড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হলে এতে এই গ্রামের কারো চাকরি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হতে থাকে গ্রামবাসী। অভিযোগ করেন কলেজ পরিচালনা কমিটি মোট অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য গ্রামের দুজনকে নিয়োগ দিয়েছে। এর পর লাঞ্চিত করা হয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ কমিটির সদস্যদের।

গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে সরকারের ঘোষনা মোতাবেক দিন ব্যাপী কর্মসুচি পালন করার প্রস্তুতি নেয় স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। সকালে অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারীগন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার পর কলেজ চত্বরের বাইরে মাইক লাগিয়ে নাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ করতে থাকে গ্রামবাসীর একটি অংশ। অর্ধ দিবস অবরুদ্ধ করে রাখা হয় শিক্ষক কর্মচারীদের। প্রবেশ করতে দেয়া হয়না অধ্যক্ষকে। এমন কি শোক দিবসের জাতীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্বজীবনীর আলোচনা ও দোয়া মহফিল কোনটাই করতে দেয়নি বিক্ষোভ কারীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে বিক্ষোভ কারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং অবরুদ্ধ শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়ী চলে যেতে সহযোগীতা করে। এঘটনায় তিব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল মানুষের মাঝে।

কলেজের অধ্যক্ষ খোন্দকার নজরুল ইসলাম জানান, জাতীয় শোক দিবসে এমন ঘটনা অনাকাঙ্খিত। আমকেও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি কলেজে। জাতীয় দিবসের কোন অনুষ্ঠান আমরা করতে পারিনি। ১৬ আগষ্ট বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ সহ শিক্ষা দপ্তরে লিখিতো ভাবে জানানো হয়েছে। আর দুজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা স্বচ্ছতার সাথেই এ নিয়োগ হয়েছে।

বিক্ষোভে নের্তৃত্ব প্রদানকারী মোহাম্মদ আলী জানান, জাতীয় শোক দিবসের কোন কর্মসুচিই বানচাল করা হয়নি। তারা পতাকা উত্তোলন করেছে এবং দোয়া মাহফিলও করেছে। স্কুলের মওলানা শিক্ষক আব্দুল বারী দোয়া পরিচালনা করেছে। এই অধ্যক্ষ আর পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে দুজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। আমরা এই নিয়োগ বাতিল সহ এদের শাস্তি দাবি করছি।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ বাহা উদ্দিন ফারুকী জানান, জাতীয় শোক দিবসের দিন এমন বিক্ষোভের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনা হয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা জানান, জাতীয় শোক দিবসে এমন ঘটনা দুঃখ জনক। বিষয়টি আমার উদ্ধোতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে তারা তদন্ত করার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান জানান, বিষয়টি আমাকে কলেজের অধ্যক্ষ লিখিত ভাবে জানিয়েছে, জাতীয় শোক দিসর দিন এমন ঘটনা কখনোই মেনে নেবার নয়। ঘটনাটি সঠিক ভাবে যাচাই বাচাই করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি বানিয়াগাঁতী স্কুল ও কলেজে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে টালমাটাল অবস্থা

প্রকাশিত সময় ০৫:২৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জ বেলকুচির বানিয়াগাঁতী এস এম একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে পালন করতে দেয়া হয়নি ১৫ আগষ্টে জাতীয় শোক দিবস। উত্তোলন হয়নি জাতীয় ও কালো পতাকা, হয়নি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর আলোচনা ও দোয় মাহফিল। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কলেজে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি অধ্যক্ষকে। তবে কলেজ চত্বরের বাইরে মাইক লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় একটি চক্র এমটাই অভিযোগ স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের।

ঘটনার বিবরনে ও লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, গত ৪ মার্চ কলেজে দুজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এতে বানিয়াগাঁতী গ্রামের ৭ জন প্রার্থী অংশনেয় এই পরিক্ষায়। কিন্তু ১২ মার্চ দুজন প্রার্থীকে চুড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হলে এতে এই গ্রামের কারো চাকরি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হতে থাকে গ্রামবাসী। অভিযোগ করেন কলেজ পরিচালনা কমিটি মোট অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য গ্রামের দুজনকে নিয়োগ দিয়েছে। এর পর লাঞ্চিত করা হয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ কমিটির সদস্যদের।

গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে সরকারের ঘোষনা মোতাবেক দিন ব্যাপী কর্মসুচি পালন করার প্রস্তুতি নেয় স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। সকালে অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারীগন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার পর কলেজ চত্বরের বাইরে মাইক লাগিয়ে নাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ করতে থাকে গ্রামবাসীর একটি অংশ। অর্ধ দিবস অবরুদ্ধ করে রাখা হয় শিক্ষক কর্মচারীদের। প্রবেশ করতে দেয়া হয়না অধ্যক্ষকে। এমন কি শোক দিবসের জাতীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্বজীবনীর আলোচনা ও দোয়া মহফিল কোনটাই করতে দেয়নি বিক্ষোভ কারীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে বিক্ষোভ কারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং অবরুদ্ধ শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়ী চলে যেতে সহযোগীতা করে। এঘটনায় তিব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল মানুষের মাঝে।

কলেজের অধ্যক্ষ খোন্দকার নজরুল ইসলাম জানান, জাতীয় শোক দিবসে এমন ঘটনা অনাকাঙ্খিত। আমকেও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি কলেজে। জাতীয় দিবসের কোন অনুষ্ঠান আমরা করতে পারিনি। ১৬ আগষ্ট বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ সহ শিক্ষা দপ্তরে লিখিতো ভাবে জানানো হয়েছে। আর দুজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা স্বচ্ছতার সাথেই এ নিয়োগ হয়েছে।

বিক্ষোভে নের্তৃত্ব প্রদানকারী মোহাম্মদ আলী জানান, জাতীয় শোক দিবসের কোন কর্মসুচিই বানচাল করা হয়নি। তারা পতাকা উত্তোলন করেছে এবং দোয়া মাহফিলও করেছে। স্কুলের মওলানা শিক্ষক আব্দুল বারী দোয়া পরিচালনা করেছে। এই অধ্যক্ষ আর পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে দুজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। আমরা এই নিয়োগ বাতিল সহ এদের শাস্তি দাবি করছি।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ বাহা উদ্দিন ফারুকী জানান, জাতীয় শোক দিবসের দিন এমন বিক্ষোভের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনা হয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা জানান, জাতীয় শোক দিবসে এমন ঘটনা দুঃখ জনক। বিষয়টি আমার উদ্ধোতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে তারা তদন্ত করার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান জানান, বিষয়টি আমাকে কলেজের অধ্যক্ষ লিখিত ভাবে জানিয়েছে, জাতীয় শোক দিসর দিন এমন ঘটনা কখনোই মেনে নেবার নয়। ঘটনাটি সঠিক ভাবে যাচাই বাচাই করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।