ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের ফুলপুর উপজেলার বাঁশাটিএলাকায় একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে রাস্তার পাশে পুকুড়ে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে তারাকান্দার ১ জন ও শিশুসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে এক শিশু, পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ রয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন ৬ জন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফুলপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুর রাজ্জাক ও সিনিয়র ফায়ার ফাইটার মোঃ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাও উপজেলার মশাখালী গ্রামের হাফিজুদ্দিনের স্ত্রী পারুল বেগমের বোনের ছেলে হাশেমের মৃত্যুর খবর শুনে ভালুকা, গফরগাঁও ও তারাকান্দা থেকে আত্মীয়-স্বজনরা একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৯২৩৯৯) নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা বারুয়ামারি যাচ্ছিল। এই মাইক্রোবাসে মহিলা ও শিশু সহ মোট ১৪ জন ছিল৷ নালিতাবাড়ী যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসটি ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের ফুলপুর উপজেলার বাশাটী (পশ্চিম পাড়া) নামক স্থানে একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছে ধাক্কা খায় এবং সাথে সাথে উল্টে পাশে পুকুড়ে পড়ে ডুবে যায়।

খবর পেয়ে ফুলপুর ফায়ার সার্ভিস, ফুলপুর থানা পুলিশ ও ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ শুরু করেন। উদ্ধারকর্মীরা শিশুসহ ৮ জনের লাশ উদ্ধার করেন।

নিহতরা হলেন, তারাকান্দার দাদরা গ্রামের নবী হোসেন (৩০),ভালুকা উপজেলার বেগম (৩০), বুলবুলি (৫), মিলন (৬০), গফরগাঁও উপজেলার রেজিয়া বেগম (৭০), পারুল বেগম (৪৫), রিপা আক্তার (২৫), শামছুল হক (৫৫)।

এসময় রতন মিয়া (৫০), মিজান (২৮), হাবি (৫৫) ও সোরহাব (২৮) নামে ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

মাইক্রোবাসটির ড্রাইভার পালিয়ে যায়। ফুলপুর থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

সংবাদ পেয়ে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক প্রাণ নাথ সাহা, ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন।

ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমারত হোসেন গাজী বলেন, স্বজনরা আসলে লাশগুলোর জিডি এন্ট্রি করে তাদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।