ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মধ্য আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি সেনা শাহিনের বাড়িতে শোকের মাতম

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০
  • / 174

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ মধ্যে আফ্রিকাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল (সেনা নং-১৮১১৭৫৭) আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাহিনের)’র বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

বাকরুদ্ধ পিতা আর বারবার মুর্ছা যাওয়া মায়ের কান্নায় ভারি হচ্ছে বাতাস। স্ত্রীর নির্বাক কান্না আর অবুঝ সন্তারে চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছেনা। শোকে হতবিহবল ভাই ও একমাত্র বোন আশার চিৎকারই বলে দেয় ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসর কোন কোমতি ছিলনা এই পরিবারে। এলাকাবাসিও শোকে স্তম্ভিত। সব মিলিয়ে এক শুনসান শোকের নিস্তব্দতা বিরাজ করছে এই পরিবারটিতে।

জানাগেছে, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বি.এ কলেজ রোডস্থ বিন্দুপাড়া মহল্লার আব্দুস সাত্তার এর বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন ধরে ল্যান্স করপোরাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকুরী করাবস্থায় জাতিসংঘ মিশনে সে বর্তমানে মধ্য আফ্রিকাতে একটি অভিযানিক দলে ছিলেন। গত রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২৫ মিনিটের সময় সেনাবাহিনীর নিজস্ব পানিবাহী গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি খাদে পড়েগেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়।

সোমবার বিকালে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রচার এবং পরিবারকে জানানো হলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন তিনি। তিন ভাই আর এক বোনের সুখের সংসার তাদের ভালই চলছিলো। পরিবারে একমাত্র সরকারি চাকুরী বলতে সেই করতো। ছোট ভাই একটি বেসরকারি কোম্পানীতে মার্কেটিং অফিসার ও ছোটভাই পড়ালেখা করলেও বোন আশাকে অনেক আগেই বিয়ে দেন।

সেনা সদস্য হিসেবে চাকুরীতে যোগদানের পর দীর্ঘ সময় ধরে চাকুরী করার ল্যান্স করপোরাল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ছোট বেলায় স্থানীয় পিটিআই ও পরে এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুলেও লেখাপড়া করেন।

তার পরিবার সুত্রে জানাগেছে, আগামি কয়েক দিনের মধ্যে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।

স্থানীয়দের মতে ছোট থেকেই মামুন ছিলেন নম্র ও বিনয়ী স্বভাবের। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকাবাসি শোকাহত। চাকুরী করার কারণে বাড়িতে খুব কম সময় আসতো। দেশ প্রেমিক একজন সেনার মৃত্যুতে পুরো এলাকাবাসি শোকে শোকায়িত। শোকাহত পিতা আব্দুস সাত্তার সকলের নিকট তার বড় ছেরের এমন মৃত্যুতে দেশবাসির নিকট দোয়া চেয়েছেন।

এদিকে সোমবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সংবাদ মাধ্যম আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ল্যান্স করপোরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাহীন) নিহতের সময় আরো দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন, সার্জেন্ট মো. আব্দুস সামাদ (৩৫) এবং সৈনিক মোকলেছুর রহমান (৩১) নামে দুজন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত রবিবার মধ্য আফ্রিকার কাগা বন্দর থেকে বাংলাদেশি শান্তি রক্ষীদের বহনকারী ওয়াটার বাউজার (পানি সরবরাহকারী গাড়ি) বাঙ্গ্গুুইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে রাত ১২টা ২৫ মিনিটে ডেলে নামক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্রিজে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত অন্যান্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন।

মধ্য আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি সেনা শাহিনের বাড়িতে শোকের মাতম

প্রকাশিত সময় ০৫:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ মধ্যে আফ্রিকাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল (সেনা নং-১৮১১৭৫৭) আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাহিনের)’র বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

বাকরুদ্ধ পিতা আর বারবার মুর্ছা যাওয়া মায়ের কান্নায় ভারি হচ্ছে বাতাস। স্ত্রীর নির্বাক কান্না আর অবুঝ সন্তারে চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছেনা। শোকে হতবিহবল ভাই ও একমাত্র বোন আশার চিৎকারই বলে দেয় ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসর কোন কোমতি ছিলনা এই পরিবারে। এলাকাবাসিও শোকে স্তম্ভিত। সব মিলিয়ে এক শুনসান শোকের নিস্তব্দতা বিরাজ করছে এই পরিবারটিতে।

জানাগেছে, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বি.এ কলেজ রোডস্থ বিন্দুপাড়া মহল্লার আব্দুস সাত্তার এর বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন ধরে ল্যান্স করপোরাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকুরী করাবস্থায় জাতিসংঘ মিশনে সে বর্তমানে মধ্য আফ্রিকাতে একটি অভিযানিক দলে ছিলেন। গত রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২৫ মিনিটের সময় সেনাবাহিনীর নিজস্ব পানিবাহী গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি খাদে পড়েগেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়।

সোমবার বিকালে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রচার এবং পরিবারকে জানানো হলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন তিনি। তিন ভাই আর এক বোনের সুখের সংসার তাদের ভালই চলছিলো। পরিবারে একমাত্র সরকারি চাকুরী বলতে সেই করতো। ছোট ভাই একটি বেসরকারি কোম্পানীতে মার্কেটিং অফিসার ও ছোটভাই পড়ালেখা করলেও বোন আশাকে অনেক আগেই বিয়ে দেন।

সেনা সদস্য হিসেবে চাকুরীতে যোগদানের পর দীর্ঘ সময় ধরে চাকুরী করার ল্যান্স করপোরাল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ছোট বেলায় স্থানীয় পিটিআই ও পরে এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুলেও লেখাপড়া করেন।

তার পরিবার সুত্রে জানাগেছে, আগামি কয়েক দিনের মধ্যে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।

স্থানীয়দের মতে ছোট থেকেই মামুন ছিলেন নম্র ও বিনয়ী স্বভাবের। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকাবাসি শোকাহত। চাকুরী করার কারণে বাড়িতে খুব কম সময় আসতো। দেশ প্রেমিক একজন সেনার মৃত্যুতে পুরো এলাকাবাসি শোকে শোকায়িত। শোকাহত পিতা আব্দুস সাত্তার সকলের নিকট তার বড় ছেরের এমন মৃত্যুতে দেশবাসির নিকট দোয়া চেয়েছেন।

এদিকে সোমবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সংবাদ মাধ্যম আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ল্যান্স করপোরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাহীন) নিহতের সময় আরো দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন, সার্জেন্ট মো. আব্দুস সামাদ (৩৫) এবং সৈনিক মোকলেছুর রহমান (৩১) নামে দুজন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত রবিবার মধ্য আফ্রিকার কাগা বন্দর থেকে বাংলাদেশি শান্তি রক্ষীদের বহনকারী ওয়াটার বাউজার (পানি সরবরাহকারী গাড়ি) বাঙ্গ্গুুইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে রাত ১২টা ২৫ মিনিটে ডেলে নামক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্রিজে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত অন্যান্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন।