ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরেই হচ্ছে ক্যান্সার অপারেশন; বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:২০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
  • / 186

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরেই হচ্ছে ক্যান্সার অপারেশন। তবে, অপারেশন পূর্ব এবং অপারেশনের পরেও রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় যে ব্যয় করতে হয় তা অনেক রোগীই বহন করতে পারে না বলে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন অপারেশনকারী সার্জন আমিনুল ইসলাম খান নয়ন।

তিনি বর্তমানে শাহজাদপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের শহীদ স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময়ের পরে গত রোববার পোতাজিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার অফিস কক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়া কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে ডাক্তার আমিনুল ইসলাম খান জানান, তিনি মূলতঃ ক্যান্সার চিকিৎসক ও সার্জন।

তিনি ঢাকা মেডিক্যালে ২০১২ সাল থেকে ক্যান্সার ও প্লাস্টিক সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত থাকা কালে ২০১৬ সালে এমসিপিএস এবং ২০১৭ সালে এফসিপিএস (সার্জারি) পাশ করেন। তিনি পাকস্থলী, কোলন, ব্রেষ্ট এবং রেকটাম ক্যান্সারের চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকেন।

শাহজাদপুরের সন্তান বলে তিনি শাহজাদপুর তথা সিরাজগঞ্জ জেলার টানে একজন এফসিপিএস সার্জন হয়েও উপজেলা পর্যায়ে এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে দ্বিধা করেননি।

ইতোমধ্যেই তিনি সবুরা খাতুন নামের একজন স্তন ক্যান্সারের রোগীনির অপারেশন করেছেন। এখন ওই রোগীর কেমোথেরাপী ও রেডিওথেরাপীর জন্য সাহায্য প্রয়োজন নূন্যতম ২ লাখ টাকা। গরীব এ রোগীনির জন্য বিত্তবানদের সাহায্যের প্রয়োজন।

অপরদিকে, সাহিদা খাতুন নামের অন্য একজন ব্রেষ্ট ক্যান্সার রোগীনিকে অপারেশনের জন্য পোতাজিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। অপারেশনের শুরুতেই ঔষধ ও বিভিন্ন উপকরণ ক্রয়েই ব্যয় হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু, তার দিনমজুর স্বামী জোগার করেছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। ৮ মাস যাবৎ আক্রান্ত হতদরিদ্র এ রোগীর টাকার অভাবে চিকিৎসা আটকে আছে।

স্থানীয়ভাবে ক্যান্সার চিকিৎসায় এ ব্যয় কিন্তু অত্যন্ত কম। ঢাকায় অথবা অন্য কোথাও এ চিকিৎসায় খরচ হবে অনেক টাকা।সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতে ডাক্তার খান আরও বলেন, আমার স্বপ্ন শাহজাদপুরেই একটি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা।

আমি ইতোমধ্যেই সারা দেশের আমার সাথের এবং আগ্রহের কয়েকজন ক্যান্সার বিষয়ক চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে একটি গ্রুপ করেছি। সবারই ইচ্ছা শাহজাদপুরে একটি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন হোক। আমরা গ্রুপের নাম দিয়েছি ‘ইকরা’। ইকরা অর্থ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হসপিটাল। কিন্তু, একটা ক্যান্সার সেন্টার এবং ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল যন্ত্রপাতি দরকার তাতে ব্যয় হবে অনেক টাকা। এজন্য আমি সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় ইতোমধ্যেই এ হাসপাতাল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তিনিসহ সিভিল সার্জন-সিরাজগঞ্জ এবং স্থানীয় এমপি মহোদয় সবাই পজেটিভ এবং সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমি আমৃত্যু চেষ্টা করেই যাবো।

উপস্থিত সংবাদকর্মীরা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম খানের এ মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং সার্বিক সহযোগিতাও আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভুল অপারেশনে উম্মে হাদি নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরেই হচ্ছে ক্যান্সার অপারেশন; বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান

প্রকাশিত সময় ১২:২০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরেই হচ্ছে ক্যান্সার অপারেশন। তবে, অপারেশন পূর্ব এবং অপারেশনের পরেও রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় যে ব্যয় করতে হয় তা অনেক রোগীই বহন করতে পারে না বলে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন অপারেশনকারী সার্জন আমিনুল ইসলাম খান নয়ন।

তিনি বর্তমানে শাহজাদপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের শহীদ স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময়ের পরে গত রোববার পোতাজিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার অফিস কক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়া কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে ডাক্তার আমিনুল ইসলাম খান জানান, তিনি মূলতঃ ক্যান্সার চিকিৎসক ও সার্জন।

তিনি ঢাকা মেডিক্যালে ২০১২ সাল থেকে ক্যান্সার ও প্লাস্টিক সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত থাকা কালে ২০১৬ সালে এমসিপিএস এবং ২০১৭ সালে এফসিপিএস (সার্জারি) পাশ করেন। তিনি পাকস্থলী, কোলন, ব্রেষ্ট এবং রেকটাম ক্যান্সারের চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকেন।

শাহজাদপুরের সন্তান বলে তিনি শাহজাদপুর তথা সিরাজগঞ্জ জেলার টানে একজন এফসিপিএস সার্জন হয়েও উপজেলা পর্যায়ে এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে দ্বিধা করেননি।

ইতোমধ্যেই তিনি সবুরা খাতুন নামের একজন স্তন ক্যান্সারের রোগীনির অপারেশন করেছেন। এখন ওই রোগীর কেমোথেরাপী ও রেডিওথেরাপীর জন্য সাহায্য প্রয়োজন নূন্যতম ২ লাখ টাকা। গরীব এ রোগীনির জন্য বিত্তবানদের সাহায্যের প্রয়োজন।

অপরদিকে, সাহিদা খাতুন নামের অন্য একজন ব্রেষ্ট ক্যান্সার রোগীনিকে অপারেশনের জন্য পোতাজিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। অপারেশনের শুরুতেই ঔষধ ও বিভিন্ন উপকরণ ক্রয়েই ব্যয় হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু, তার দিনমজুর স্বামী জোগার করেছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। ৮ মাস যাবৎ আক্রান্ত হতদরিদ্র এ রোগীর টাকার অভাবে চিকিৎসা আটকে আছে।

স্থানীয়ভাবে ক্যান্সার চিকিৎসায় এ ব্যয় কিন্তু অত্যন্ত কম। ঢাকায় অথবা অন্য কোথাও এ চিকিৎসায় খরচ হবে অনেক টাকা।সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতে ডাক্তার খান আরও বলেন, আমার স্বপ্ন শাহজাদপুরেই একটি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা।

আমি ইতোমধ্যেই সারা দেশের আমার সাথের এবং আগ্রহের কয়েকজন ক্যান্সার বিষয়ক চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে একটি গ্রুপ করেছি। সবারই ইচ্ছা শাহজাদপুরে একটি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন হোক। আমরা গ্রুপের নাম দিয়েছি ‘ইকরা’। ইকরা অর্থ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হসপিটাল। কিন্তু, একটা ক্যান্সার সেন্টার এবং ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল যন্ত্রপাতি দরকার তাতে ব্যয় হবে অনেক টাকা। এজন্য আমি সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় ইতোমধ্যেই এ হাসপাতাল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তিনিসহ সিভিল সার্জন-সিরাজগঞ্জ এবং স্থানীয় এমপি মহোদয় সবাই পজেটিভ এবং সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমি আমৃত্যু চেষ্টা করেই যাবো।

উপস্থিত সংবাদকর্মীরা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম খানের এ মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং সার্বিক সহযোগিতাও আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভুল অপারেশনে উম্মে হাদি নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু