ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পুঠিয়ায় সাবমার্সিবল পাম্প বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
  • / 65

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ পুঠিয়ায় সাবমার্সিবল পাম্প বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মনীতির তোয়ক্কা না করে এসব পাম্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বেশির ভাগ বরাদ্দ পাওয়া পাম্পগুলো বাড়ির ভিতরে বসানো হয়েছে।

এতে সরকারের সাধারণ জনগণের জন্য সুপেয় পানি ব্যবহারের উদ্দেশ্য ব্যহত হতে চলেছে। জানাগেছে, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে পুঠিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের জন্য ১৫৬টি সাবমার্সিবল পাম্প প্রত্যেকটি লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয় পুঠিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়।

এর মধ্যে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৬টি করে। পাম্পগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তালিকা অনুযায়ী বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এসব সাবমার্সিবল পাম্প ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যেখানে বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে কিন্তু সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই এমন স্থানের ফাঁকা জায়গায় বা কোন বাড়ির বাহির আঙ্গিনায় বসানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

যারা চাহিদা মত টাকা দিয়েছেন তাদের নামে এই পাম্পগুলো বরাদ্দ হওয়া হয়। টাকা দেওয়ার কারণে বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিগণ তাদের বাড়ির ভিতরের আঙ্গিনায় সাবমার্সিবল পাম্পগুলো নিয়েছেন। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষেরা তাদের সুবিধামত এসব পাম্প থেকে সুপেয় পানির ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বরাদ্দ পাওয়া সকলেই জানায় টাকা দিয়ে নেওয়ার কারণে পাম্পগুলো বাড়ির ভিতরে বসানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পাম্পগুলো বাড়ির বাহিরের আঙ্গিনায় বসানোর কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) সাইফুল ইসলাম বলেন, পাম্পগুলো আমি বরাদ্দ দিয়ে থাকি না।

এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তালিকা অনুযায়ী আমরা দিয়ে থাকি। এছাড়াও তিনি বলেন, এবারও ১৫৬ টি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হবে। যেহেতু পাম্পগুলোতে সুপেয় ও নিরাপদ পানি ব্যবহারের জন্য দুইটি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।

এবার যারা সাবমার্সিবল পাম্প বাড়ির ভিতরে নিবেন, তাদের ব্যবহারের জন্য ভিতরে একটি পয়েন্ট এবং বাড়ির বাহিরে একটি পয়েন্ট দেওয়া হবে। বাহিরের পয়েন্ট দিয়ে এলাকার জনসাধারণ তাদের সুবিধমত নিরাপদ ও সুপেয় পানি ব্যবহার করতে পারবেন বলে এই কর্মকর্তা জানান।

পুঠিয়ায় সাবমার্সিবল পাম্প বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ১২:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ পুঠিয়ায় সাবমার্সিবল পাম্প বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মনীতির তোয়ক্কা না করে এসব পাম্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বেশির ভাগ বরাদ্দ পাওয়া পাম্পগুলো বাড়ির ভিতরে বসানো হয়েছে।

এতে সরকারের সাধারণ জনগণের জন্য সুপেয় পানি ব্যবহারের উদ্দেশ্য ব্যহত হতে চলেছে। জানাগেছে, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে পুঠিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের জন্য ১৫৬টি সাবমার্সিবল পাম্প প্রত্যেকটি লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয় পুঠিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়।

এর মধ্যে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৬টি করে। পাম্পগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তালিকা অনুযায়ী বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এসব সাবমার্সিবল পাম্প ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যেখানে বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে কিন্তু সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই এমন স্থানের ফাঁকা জায়গায় বা কোন বাড়ির বাহির আঙ্গিনায় বসানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

যারা চাহিদা মত টাকা দিয়েছেন তাদের নামে এই পাম্পগুলো বরাদ্দ হওয়া হয়। টাকা দেওয়ার কারণে বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিগণ তাদের বাড়ির ভিতরের আঙ্গিনায় সাবমার্সিবল পাম্পগুলো নিয়েছেন। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষেরা তাদের সুবিধামত এসব পাম্প থেকে সুপেয় পানির ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বরাদ্দ পাওয়া সকলেই জানায় টাকা দিয়ে নেওয়ার কারণে পাম্পগুলো বাড়ির ভিতরে বসানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পাম্পগুলো বাড়ির বাহিরের আঙ্গিনায় বসানোর কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) সাইফুল ইসলাম বলেন, পাম্পগুলো আমি বরাদ্দ দিয়ে থাকি না।

এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তালিকা অনুযায়ী আমরা দিয়ে থাকি। এছাড়াও তিনি বলেন, এবারও ১৫৬ টি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হবে। যেহেতু পাম্পগুলোতে সুপেয় ও নিরাপদ পানি ব্যবহারের জন্য দুইটি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।

এবার যারা সাবমার্সিবল পাম্প বাড়ির ভিতরে নিবেন, তাদের ব্যবহারের জন্য ভিতরে একটি পয়েন্ট এবং বাড়ির বাহিরে একটি পয়েন্ট দেওয়া হবে। বাহিরের পয়েন্ট দিয়ে এলাকার জনসাধারণ তাদের সুবিধমত নিরাপদ ও সুপেয় পানি ব্যবহার করতে পারবেন বলে এই কর্মকর্তা জানান।