ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

উল্লাপাড়ায় ফুলজোড় নদীর বুকে হচ্ছে ধান চাষাবাদ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 123

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী গুলো এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। আর সেই সব নদীর বুকে এখন হচ্ছে ধান সহ সবজী চাষাবাদ।

পলি জমে ভরাট হবার কারনে এখন অসিত্ব হারাতে বসেছে এসব নদীগুলো,নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে, করতোয়া,গোহালা, স্বরসতি,জবজোপিয়া, বিলসৃর্য, মুক্তাহারসহ অসংখ নদী-নালা খালবিল।

আর এসব নদী-নালা ভরাট হয়ে অনেক নদীর নাম মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে।

উপজেলা ঘুরে দেখা যায় ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর বুকে আমন ধান, বোরো ধান,গম,ভুট্টা ও মিষ্টি কুমড়া সহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করছে স্থানীয় কৃষকরা।

এরই ফলে নদী ঘীরে যাদের জীবিকা নির্বাহ হতো তারা এখন বেকার হয়ে বসে আছেন।

এসময় কথা হয় স্থানীয় জেলে অনুকুল পালের সাথে তিনি বলেন,আগে নদীতে প্রচুর পানি থাকতো।

নদীতে নানা ধরনের মাছ ধরা পরতো। কিন্তুু কালের বিবর্তনে এগুলো এখন হারাতে বসেছে। নদীতে আর এখন পানিও হয় না আর সে সব মাছও ধরা পরে না।এর কারণে আমরা এখন বেকার।

বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা জেলে পরিবারের সাথে জড়িত। নদী এখন ভরাট হয়ে যাবার কারণে নদীতে আর পানি হয় না,আমরা মাছ ধরে বিক্রিও করতে পারি না।

তাই আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখন খুব কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। তবে অনেকেই আবার এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

করতোয়া নদীর সোনতলা ব্রিজের ঠিক নিচেই ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন পাইকপাড়া গ্রামের ইউনুছ প্রারামানিক (৬০) তিনি বলেন,এই সোনতলা ব্রীজের এলাকা জুড়ে প্রায় ৩০ বিঘা নদীর বুকে এখন হচ্ছে ধান চাষ।

৫-৬ বছর আগে কয়েক জন শুধু আমন ধান লাগাতো। কিন্তুু এখন এই এলাকায় নদীর বুকে রোবো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। আগে নদীতে যেখানে অনেক বড় বড় পাল তোলা নৌকা চলতো এখন সেখানে শুকিয়ে চর পরে থাকে।

তবে এখানে ধান চাষ করে অনেক কৃষকই সাবলম্ভী হচ্ছে।একই গ্রামের বেল্লাল হোসেন (৭০) বলেন, দিনে দিনে নদী তার যৌবন হারাতে বসেছে। আগে যেখানে পানিতে থইথই করতো এখন সেখানে হয় বোরো ধান সহ নানা ধরনের ফসলী আবাদ।

আগে এক সময় আমরা দেখতাম এই সব নদীতে জেলেরা জাল ফেলে,বোয়াল, কাতলা,রুই, শোল,চিংড়ি, শিং,পুটি,মলা, ঢেলা মাছ সহ নানান রকমের মাছ ধরতো।

এবং এখানে নৌকা যোগে পাড়াপার হতো কিন্তুু বর্তমান সময়ে হেঁটেই পাড় হওয়া যায়। তবে এসব এখন শুধুই স্মৃতি এগুলো আর চোখে পড়বে না।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন নদীর বুকে বোরো ধান রোপনের কথা স্বীকার করে বলেন, নদীমাতৃক দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ, অসংখ্য নদী-নালা রয়েছে আমাদের দেশে।

তবে বর্তমান সময়ে নদীর তলদেশ ভরাট হবার কারণে নদীগুলো তার রুপ হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই সুযোগে কৃষকরা সেখানে আবাদ শুরু করেছেন।

এতে কৃষকরা উপকৃত হলেও আমরা হারাচ্ছি বাংলার অপরুপ দৃশ্য।তবে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি নদীর যৌবন ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

উল্লাপাড়ায় ফুলজোড় নদীর বুকে হচ্ছে ধান চাষাবাদ

প্রকাশিত সময় ০২:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী গুলো এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। আর সেই সব নদীর বুকে এখন হচ্ছে ধান সহ সবজী চাষাবাদ।

পলি জমে ভরাট হবার কারনে এখন অসিত্ব হারাতে বসেছে এসব নদীগুলো,নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে, করতোয়া,গোহালা, স্বরসতি,জবজোপিয়া, বিলসৃর্য, মুক্তাহারসহ অসংখ নদী-নালা খালবিল।

আর এসব নদী-নালা ভরাট হয়ে অনেক নদীর নাম মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে।

উপজেলা ঘুরে দেখা যায় ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর বুকে আমন ধান, বোরো ধান,গম,ভুট্টা ও মিষ্টি কুমড়া সহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করছে স্থানীয় কৃষকরা।

এরই ফলে নদী ঘীরে যাদের জীবিকা নির্বাহ হতো তারা এখন বেকার হয়ে বসে আছেন।

এসময় কথা হয় স্থানীয় জেলে অনুকুল পালের সাথে তিনি বলেন,আগে নদীতে প্রচুর পানি থাকতো।

নদীতে নানা ধরনের মাছ ধরা পরতো। কিন্তুু কালের বিবর্তনে এগুলো এখন হারাতে বসেছে। নদীতে আর এখন পানিও হয় না আর সে সব মাছও ধরা পরে না।এর কারণে আমরা এখন বেকার।

বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা জেলে পরিবারের সাথে জড়িত। নদী এখন ভরাট হয়ে যাবার কারণে নদীতে আর পানি হয় না,আমরা মাছ ধরে বিক্রিও করতে পারি না।

তাই আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখন খুব কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। তবে অনেকেই আবার এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

করতোয়া নদীর সোনতলা ব্রিজের ঠিক নিচেই ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন পাইকপাড়া গ্রামের ইউনুছ প্রারামানিক (৬০) তিনি বলেন,এই সোনতলা ব্রীজের এলাকা জুড়ে প্রায় ৩০ বিঘা নদীর বুকে এখন হচ্ছে ধান চাষ।

৫-৬ বছর আগে কয়েক জন শুধু আমন ধান লাগাতো। কিন্তুু এখন এই এলাকায় নদীর বুকে রোবো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। আগে নদীতে যেখানে অনেক বড় বড় পাল তোলা নৌকা চলতো এখন সেখানে শুকিয়ে চর পরে থাকে।

তবে এখানে ধান চাষ করে অনেক কৃষকই সাবলম্ভী হচ্ছে।একই গ্রামের বেল্লাল হোসেন (৭০) বলেন, দিনে দিনে নদী তার যৌবন হারাতে বসেছে। আগে যেখানে পানিতে থইথই করতো এখন সেখানে হয় বোরো ধান সহ নানা ধরনের ফসলী আবাদ।

আগে এক সময় আমরা দেখতাম এই সব নদীতে জেলেরা জাল ফেলে,বোয়াল, কাতলা,রুই, শোল,চিংড়ি, শিং,পুটি,মলা, ঢেলা মাছ সহ নানান রকমের মাছ ধরতো।

এবং এখানে নৌকা যোগে পাড়াপার হতো কিন্তুু বর্তমান সময়ে হেঁটেই পাড় হওয়া যায়। তবে এসব এখন শুধুই স্মৃতি এগুলো আর চোখে পড়বে না।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন নদীর বুকে বোরো ধান রোপনের কথা স্বীকার করে বলেন, নদীমাতৃক দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ, অসংখ্য নদী-নালা রয়েছে আমাদের দেশে।

তবে বর্তমান সময়ে নদীর তলদেশ ভরাট হবার কারণে নদীগুলো তার রুপ হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই সুযোগে কৃষকরা সেখানে আবাদ শুরু করেছেন।

এতে কৃষকরা উপকৃত হলেও আমরা হারাচ্ছি বাংলার অপরুপ দৃশ্য।তবে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি নদীর যৌবন ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।