ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নরিনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যেন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার আখড়া

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:১৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • / 80

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের একমাত্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসা রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে পদে পদে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী।

ছোট একটি সাইবোর্ডে ৭দিন ২৪ ঘন্টা প্রসব সেবা দেওয়া হয় লেখা থাকলেও তা ঐ সাইনবোর্ডেই সিমাবদ্ধ। ভোগান্তিসহ দূর্ব্যাবহার ও কাংখিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বি ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

এমন হাজারো অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। হেন কোন অনিয়ম নেই যা এখানে হয়না।

২৪ ঘন্টা প্রসূতী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এ সুবিধা থেকে বি ত হচ্ছে তারা। হাসপাতাল শুরু থেকেই সপ্তাহের ব্যাপী ২৪ ঘন্টা প্রসূতী রোগীদের সেবা সাইনবোর্ডেই সিমাবদ্ধ আছে।

৭দিন ২৪ ঘন্টা প্রসূতী রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটির দোতালা ভবনে আবাসিক কোয়াটারের ব্যবস্থা করলেও আজ পর্যন্ত কেউ থাকেনি ঐ কোয়াটারে। কিন্তু প্রতি বছর কোয়াটারটি মেরামত ও রং করার জন্য সরকারের ক্ষতি হচ্ছে লক্ষ টাকা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোয়াটার গুলোতে আবাসিক হিসেবে বসবাস করার কথা তারা কেউ নেই সেই কোয়াটার পরিত্যাক্ত ওই কোয়াটারটি ব্যবহার হচ্ছে স্টোর হিসাবে।

কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার জন্য সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও তোয়াক্কা করছেন না এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। সঠিক সময়ে খোলা হচ্ছে না স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি।

উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এর ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি থাকতেও কাঙ্খিত সেবা থেকে বিভন্ত হচ্ছেন রোগীরা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেট ক্লিনিক এর মার্কেটিং অফিসারদের নিয়মিত আনাগোনা আছে হাসপাতালটিতে। এখানে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে তাদের কথা মত দৌরাচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে এতে যেমন আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমন কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোছাঃ খাদিজা খাতুন বলেন, এই চড়ার মধ্যে আমি কি ভাবে থাকবো। আমি ভুতের ভয় খাই। আমার একটা ছোট বাচ্চা আছে তাই আমি এখানে থাকি না।

এবং খাদিজা খাতুনের বিষয়ে এলাকাবাসীর মুখে শোনা যায় ভিন্ন কথা, সেখান থেকে সেবা দেওয়া তো দূরের কথা তিনি তার মনমর্জি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে আসেন যাতায়াত করে। এ যেন তাহার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান।

অপরদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির সভাপতি ও নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক (মন্ত্রী)‘র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে কোন বিষয়ে কিছু জানানো হয় না, এমনকি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির বরাব্দকৃত ঔষধ খোলার সময় আমাকে অবগত করার নিয়ম থাকলেও তা আমাকে আজ পর্যন্ত কোন দিন জানানো হয়নি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির ফার্মাসিস্ট রুহুল আমিন এর কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এমন কোন নিয়ম নাই। তাই আমি কাউকে অবগত করার প্রয়োজন মনি করি না।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ছাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির এমন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির বরাব্দকৃত ঔষধ খোলার সময় অবশ্যই জন প্রতিনিধিকে অবগত করতে হবে এবং ৭দিনের ২৪ ঘন্টাই যেন প্রসব সেবা ইউনিয়ন বাসী পায় তার জন্য অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নরিনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যেন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার আখড়া

প্রকাশিত সময় ০৭:১৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের একমাত্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসা রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে পদে পদে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী।

ছোট একটি সাইবোর্ডে ৭দিন ২৪ ঘন্টা প্রসব সেবা দেওয়া হয় লেখা থাকলেও তা ঐ সাইনবোর্ডেই সিমাবদ্ধ। ভোগান্তিসহ দূর্ব্যাবহার ও কাংখিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বি ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

এমন হাজারো অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। হেন কোন অনিয়ম নেই যা এখানে হয়না।

২৪ ঘন্টা প্রসূতী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এ সুবিধা থেকে বি ত হচ্ছে তারা। হাসপাতাল শুরু থেকেই সপ্তাহের ব্যাপী ২৪ ঘন্টা প্রসূতী রোগীদের সেবা সাইনবোর্ডেই সিমাবদ্ধ আছে।

৭দিন ২৪ ঘন্টা প্রসূতী রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটির দোতালা ভবনে আবাসিক কোয়াটারের ব্যবস্থা করলেও আজ পর্যন্ত কেউ থাকেনি ঐ কোয়াটারে। কিন্তু প্রতি বছর কোয়াটারটি মেরামত ও রং করার জন্য সরকারের ক্ষতি হচ্ছে লক্ষ টাকা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোয়াটার গুলোতে আবাসিক হিসেবে বসবাস করার কথা তারা কেউ নেই সেই কোয়াটার পরিত্যাক্ত ওই কোয়াটারটি ব্যবহার হচ্ছে স্টোর হিসাবে।

কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার জন্য সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও তোয়াক্কা করছেন না এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। সঠিক সময়ে খোলা হচ্ছে না স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি।

উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এর ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি থাকতেও কাঙ্খিত সেবা থেকে বিভন্ত হচ্ছেন রোগীরা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেট ক্লিনিক এর মার্কেটিং অফিসারদের নিয়মিত আনাগোনা আছে হাসপাতালটিতে। এখানে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে তাদের কথা মত দৌরাচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে এতে যেমন আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমন কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোছাঃ খাদিজা খাতুন বলেন, এই চড়ার মধ্যে আমি কি ভাবে থাকবো। আমি ভুতের ভয় খাই। আমার একটা ছোট বাচ্চা আছে তাই আমি এখানে থাকি না।

এবং খাদিজা খাতুনের বিষয়ে এলাকাবাসীর মুখে শোনা যায় ভিন্ন কথা, সেখান থেকে সেবা দেওয়া তো দূরের কথা তিনি তার মনমর্জি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে আসেন যাতায়াত করে। এ যেন তাহার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান।

অপরদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির সভাপতি ও নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক (মন্ত্রী)‘র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে কোন বিষয়ে কিছু জানানো হয় না, এমনকি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির বরাব্দকৃত ঔষধ খোলার সময় আমাকে অবগত করার নিয়ম থাকলেও তা আমাকে আজ পর্যন্ত কোন দিন জানানো হয়নি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির ফার্মাসিস্ট রুহুল আমিন এর কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এমন কোন নিয়ম নাই। তাই আমি কাউকে অবগত করার প্রয়োজন মনি করি না।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ছাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির এমন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেটির বরাব্দকৃত ঔষধ খোলার সময় অবশ্যই জন প্রতিনিধিকে অবগত করতে হবে এবং ৭দিনের ২৪ ঘন্টাই যেন প্রসব সেবা ইউনিয়ন বাসী পায় তার জন্য অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।