ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভালোবাসার টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী এখন শাহজাদপুরের পল্লীতে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / 75
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পল্লী অঞ্চলে ভালোবাসার টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ।

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ন, আগষ্ট ৩১, ২০২২


এবার ভালোবাসার টানে ২৫বছর বয়সী ইন্দোনেশিয়ান তরুনী স্মৃতি নুরানী চলে এসেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পল্লী অঞ্চলে। উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী গোপালপুর গ্রামের ২৬ বছর বয়সী যুবক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হিসেবে তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গোপালপুর গ্রামের মৃত নজর আলী মোল্লার ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন ভাগ্য বদলের জন্য
২০১৫ সালে সুদূর মালয়েশিয়ায় পারি জমায়। সেখানে তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানী কোয়ালালামপুরের পেথেনজিয়া নামক একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানায় কাজ শুরু করেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় ঘটে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে স্মৃতি নুরানীর সাথে। স্মৃতি নুরানী
মালয়েশিয়ার এমকা ডোয়া মানডুম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো।ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব আরো গভীর হতে থাকে, ২ বছর পর
তাদের তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরে আনোয়ার স্মৃতিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে স্মৃতি তার পিতা মাহাব উদ্দিনকে জানালে তিনিও রাজি হয়ে যান।পরে আনোয়ারের প্রতি ভালোবাসার
টানে ২০১৯ সালে স্মৃতি নুরানী ইন্দোনেশিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় আনোয়ারের কাছে পাড়ি জমান। সেখানে তারা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

গত মাসে তারা বাংলাদেশে আসেন, ইন্দোনেশিয়ান বধু গোপালপুর গ্রামে আসায় এলাকা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তাদের দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় জমায়। গত ২৯ আগষ্ট শাহজাদপুর আদালতের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশী রীতি অনুযায়ী আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

এবং স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে কাবিন এবং রেজিষ্ট্রি করান।ইন্দোনেশিয়ার তরুণী স্মৃতি নুরানী বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আনোয়ারের সাথে আমার পরিচয় ঘটে।

তারপর একে অপরকে ভালোবেসে ফেলি, আনোয়ার আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমার পরিবারকে জানাই। তারা আনোয়ারের সাথে বিয়েতে সম্মতি দেয়, তখন আমি ইন্দোনেশিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় আনোয়ারের কাছে চলে যাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষদের আমার খুব ভালো লেগেছে, তারা অনেক ভালো। বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার চিন্তা রয়েছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


ভালোবাসার টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী এখন শাহজাদপুরের পল্লীতে

প্রকাশিত সময় ১০:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পল্লী অঞ্চলে ভালোবাসার টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ।

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ন, আগষ্ট ৩১, ২০২২


এবার ভালোবাসার টানে ২৫বছর বয়সী ইন্দোনেশিয়ান তরুনী স্মৃতি নুরানী চলে এসেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পল্লী অঞ্চলে। উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী গোপালপুর গ্রামের ২৬ বছর বয়সী যুবক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হিসেবে তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গোপালপুর গ্রামের মৃত নজর আলী মোল্লার ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন ভাগ্য বদলের জন্য
২০১৫ সালে সুদূর মালয়েশিয়ায় পারি জমায়। সেখানে তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানী কোয়ালালামপুরের পেথেনজিয়া নামক একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানায় কাজ শুরু করেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় ঘটে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে স্মৃতি নুরানীর সাথে। স্মৃতি নুরানী
মালয়েশিয়ার এমকা ডোয়া মানডুম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো।ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব আরো গভীর হতে থাকে, ২ বছর পর
তাদের তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরে আনোয়ার স্মৃতিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে স্মৃতি তার পিতা মাহাব উদ্দিনকে জানালে তিনিও রাজি হয়ে যান।পরে আনোয়ারের প্রতি ভালোবাসার
টানে ২০১৯ সালে স্মৃতি নুরানী ইন্দোনেশিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় আনোয়ারের কাছে পাড়ি জমান। সেখানে তারা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

গত মাসে তারা বাংলাদেশে আসেন, ইন্দোনেশিয়ান বধু গোপালপুর গ্রামে আসায় এলাকা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তাদের দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় জমায়। গত ২৯ আগষ্ট শাহজাদপুর আদালতের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশী রীতি অনুযায়ী আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

এবং স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে কাবিন এবং রেজিষ্ট্রি করান।ইন্দোনেশিয়ার তরুণী স্মৃতি নুরানী বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আনোয়ারের সাথে আমার পরিচয় ঘটে।

তারপর একে অপরকে ভালোবেসে ফেলি, আনোয়ার আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমার পরিবারকে জানাই। তারা আনোয়ারের সাথে বিয়েতে সম্মতি দেয়, তখন আমি ইন্দোনেশিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় আনোয়ারের কাছে চলে যাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষদের আমার খুব ভালো লেগেছে, তারা অনেক ভালো। বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার চিন্তা রয়েছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ