ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভেড়ামারায় কালাই রুটির ধুম পড়েছে

ভেড়ামারা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 110

কালাইরুটি প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা আমেনা খাতুন।


কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলায় শীত মৌসুমে হাঁট বাজার, রেললাইনের পাশ গুলোতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলাইয়ের রুটি বিক্রি’র ধুম পড়ে। খেতে খুবিই সুস্বাদু, তাই কুষ্টিয়া অঞ্চলে এ রুটি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সুস্বাদু কলাই রুটি মূল ভোক্তা শ্রমজীবী মানুষ, রিক্সাওয়ালা, মুঠে মজুর, ক্ষুদে ব্যবসায়ী এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। এমন কি ভদ্রলোকরা সখের বসে খেতে দেখা যায়। কুষ্টিয়া অঞ্চলের জনপ্রিয় কলাইয়ের রুটি বিক্রি করে অনেক মহিলার জীবন জীবিকার জন্য নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রতি সন্ধ্যা রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই রুটি বিক্রি করেন।

মহিলা ব্যবসায়ী আমেনা খাতুন জানান, কলাইয়ের রুটি খেতে সবজি লাগে না, চিনি, গুড় কিংবা মিষ্টি লাগে না, প্রয়োজন হয়না গোস্তের। শুধু তেল, লবণ, ধনিয়া পাতা, মরিচ ও পিয়াজ দিয়ে তৈরী ঝাল দিয়ে খেতে হয় কলাইয়ের রুটি। কেউ কেউ আবার বেগুন ভর্তা দিয়ে খেয়ে থাকেন। রুটি ব্যবসায়ীর থালা বাসনের প্রয়োজন হয় না তেমন। ক্রেতারা রুটি হাতের উপর নিয়ে খেতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন বেশি।

প্রতিদিন রাতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হয়। লাভ ও হয় তিন-চার’শ টাকা। রাস্তার ধারে ফুটপাতে সামান্য চাটাইয়ের ছাউনির নীচে তৈরী পর্দার আড়ালে ইটের উপর কিংবা কাঠের পিড়ির উপর বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কেউ কেউ খোলা আকাশের নীচে বসে রুটি বিক্রি করে চলেছে।

সুস্বাদু কলাই রুটি মূল ভোক্তা শ্রমজীবী মানুষ, রিক্সাওয়ালা, মুঠে মজুর, ক্ষুদে ব্যবসায়ী এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা পছন্দ করেন। ভদ্রলোকদের কম পছন্দ নয় এই কলাইয়ের রুটি। তবে তারা তো ফুটপাতে এসে বসতে পারে না। পিয়ন বা গার্ডদের মাধ্যমে কিনে নিয়ে গিয়ে তারা চেয়ার টেবিলে বসে আসর মাতিয়ে খান।

কালাই রুটি বানানোর কৌশল সম্পর্কে হাসিনা বানু ও রোকশানা বেগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা হাঁসতে হাঁসতে  জানান, শুধু কলাই দিয়ে তৈরি রুটি খেতে ভাল লাগে না। কিছুটা তিতকুটে হয়। সে জন্য চাল ও গমের আটা মিশাতে হয়। পরিমাণ মত লবণ ও পানি দিয়ে আটা মাখিয়ে তৈরী করাই হচ্ছে আসল কাজ। মাখানো কাজটি যত ভালো হবে রুটি হবে তত বেশি ভাল ও সুস্বাদু হবে।

কলাইয়ের রুটি হয় আয়তনে বড় এবং বেশ পুরো। সে কারণে রুটি ছেকার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রুটি জমজমাট ভাবে বিক্রি হয়।প্রতিটা রুটি ৩০/৫০ টাকা পিচ বিক্রি করা হয়। এতে প্রতিদিন আয় মোটামুটি ভাল হয়। তা দিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের স্বচ্ছান্দে সংসার চলে।

এই রকম আরও টপিক

ভেড়ামারায় কালাই রুটির ধুম পড়েছে

প্রকাশিত সময় ০৩:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলায় শীত মৌসুমে হাঁট বাজার, রেললাইনের পাশ গুলোতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলাইয়ের রুটি বিক্রি’র ধুম পড়ে। খেতে খুবিই সুস্বাদু, তাই কুষ্টিয়া অঞ্চলে এ রুটি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সুস্বাদু কলাই রুটি মূল ভোক্তা শ্রমজীবী মানুষ, রিক্সাওয়ালা, মুঠে মজুর, ক্ষুদে ব্যবসায়ী এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। এমন কি ভদ্রলোকরা সখের বসে খেতে দেখা যায়। কুষ্টিয়া অঞ্চলের জনপ্রিয় কলাইয়ের রুটি বিক্রি করে অনেক মহিলার জীবন জীবিকার জন্য নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রতি সন্ধ্যা রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই রুটি বিক্রি করেন।

মহিলা ব্যবসায়ী আমেনা খাতুন জানান, কলাইয়ের রুটি খেতে সবজি লাগে না, চিনি, গুড় কিংবা মিষ্টি লাগে না, প্রয়োজন হয়না গোস্তের। শুধু তেল, লবণ, ধনিয়া পাতা, মরিচ ও পিয়াজ দিয়ে তৈরী ঝাল দিয়ে খেতে হয় কলাইয়ের রুটি। কেউ কেউ আবার বেগুন ভর্তা দিয়ে খেয়ে থাকেন। রুটি ব্যবসায়ীর থালা বাসনের প্রয়োজন হয় না তেমন। ক্রেতারা রুটি হাতের উপর নিয়ে খেতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন বেশি।

প্রতিদিন রাতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হয়। লাভ ও হয় তিন-চার’শ টাকা। রাস্তার ধারে ফুটপাতে সামান্য চাটাইয়ের ছাউনির নীচে তৈরী পর্দার আড়ালে ইটের উপর কিংবা কাঠের পিড়ির উপর বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কেউ কেউ খোলা আকাশের নীচে বসে রুটি বিক্রি করে চলেছে।

সুস্বাদু কলাই রুটি মূল ভোক্তা শ্রমজীবী মানুষ, রিক্সাওয়ালা, মুঠে মজুর, ক্ষুদে ব্যবসায়ী এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা পছন্দ করেন। ভদ্রলোকদের কম পছন্দ নয় এই কলাইয়ের রুটি। তবে তারা তো ফুটপাতে এসে বসতে পারে না। পিয়ন বা গার্ডদের মাধ্যমে কিনে নিয়ে গিয়ে তারা চেয়ার টেবিলে বসে আসর মাতিয়ে খান।

কালাই রুটি বানানোর কৌশল সম্পর্কে হাসিনা বানু ও রোকশানা বেগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা হাঁসতে হাঁসতে  জানান, শুধু কলাই দিয়ে তৈরি রুটি খেতে ভাল লাগে না। কিছুটা তিতকুটে হয়। সে জন্য চাল ও গমের আটা মিশাতে হয়। পরিমাণ মত লবণ ও পানি দিয়ে আটা মাখিয়ে তৈরী করাই হচ্ছে আসল কাজ। মাখানো কাজটি যত ভালো হবে রুটি হবে তত বেশি ভাল ও সুস্বাদু হবে।

কলাইয়ের রুটি হয় আয়তনে বড় এবং বেশ পুরো। সে কারণে রুটি ছেকার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রুটি জমজমাট ভাবে বিক্রি হয়।প্রতিটা রুটি ৩০/৫০ টাকা পিচ বিক্রি করা হয়। এতে প্রতিদিন আয় মোটামুটি ভাল হয়। তা দিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের স্বচ্ছান্দে সংসার চলে।