জুয়া খেলার ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল রানাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেছে গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইয়াকুব আকন্দ ও তার সহযোগীরা।

এসময় তার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে হামলাকারীরা।

রবিবার ২৮ মে রাতে সোহেল রানার দুলাভাই জহুরুলের বাড়ি নরিনা থেকে ঈদের মালামাল কেনার টাকা নিয়ে বালসাবাড়ি বাজারে তার দোকান শাপলা স্টোরে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটে গাড়াদহ বকুলতলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়।

রাতেই এলাকাবাসী আহত সোহেলকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় সোহেল রানা বাদী হয়ে ইউপি মেম্বার ইয়াকুবসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এদিকে বিবাদীরা তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অপরদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার প্রতাপশালী একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীরূপ।

সোহেল রানার অভিযোগ, কে বা কারা জুয়া খেলার ভিডিও নেটে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়; যার দায়ভার সন্দেহের বশে তার ওপর চাপিয়ে ইউপি সদস্য ইয়াকুব আকন্দ ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসন্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার বাম হাত, ডান চোখ, মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতরভাবে জখম করে এবং ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাটি রাতেই থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে।

গাড়াদহ ইউপি মেম্বার ইয়াকুব আকন্দ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হেয়পতিপন্ন করতে এ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘ইয়াকুব মেম্বার ও সোহেল রানা উভয়েরই অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।