ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

আগস্ট হতে পারে ডেঙ্গুর ‘পিক সিজন’

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / 79

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে আবারও সতর্ক সংকেত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পাশাপাশি আগস্ট হতে পারে চলতি বছরের ‘পিক সিজন’। এ অবস্থায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের মৌসুম ধরা হয় মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ডেঙ্গু বছরব্যাপী হচ্ছে। এর মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকে জুলাই ও আগস্টে।


প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন শত শত রোগী। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। হাসপাতালটিতে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীরা জানান, প্রথমে জ্বর হয়। পরে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। শুধু বমি হয়। উঠে দাঁড়াতে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যান।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জুনে যে সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছিল তার চেয়ে সাত গুণ বেশি আক্রান্ত হয়েছে জুলাইয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে: আগস্টে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন হতে পারে?


২০১৯ ও ২০২৩-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর আগস্ট মাসকে চলতি বছরের ‘পিক সিজন’ হিসেবে দেখছেন তারা।


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘যদি আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারি, তাহলে সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু বাংলাদেশে গত ২০-২৫ বছরের মধ্যে একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।’

এদিকে রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি হাসপাতালগুলো নিয়েছে বলে জানান সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ড. খলিলুর রহমান


তিনি বলেন, ‘আমরা যাতে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারি, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, আমরা নিজেরা যাতে ভালো থাকতে পারি, সেদিকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে অবস্থা জটিল হওয়ার আগেই হাসপাতালে চলে আসতে হবে।’

এদিকে মশার বিস্তার ঠেকাতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এই রকম আরও টপিক

আগস্ট হতে পারে ডেঙ্গুর ‘পিক সিজন’

প্রকাশিত সময় ০৪:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে আবারও সতর্ক সংকেত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পাশাপাশি আগস্ট হতে পারে চলতি বছরের ‘পিক সিজন’। এ অবস্থায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের মৌসুম ধরা হয় মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ডেঙ্গু বছরব্যাপী হচ্ছে। এর মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকে জুলাই ও আগস্টে।


প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন শত শত রোগী। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। হাসপাতালটিতে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীরা জানান, প্রথমে জ্বর হয়। পরে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। শুধু বমি হয়। উঠে দাঁড়াতে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যান।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জুনে যে সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছিল তার চেয়ে সাত গুণ বেশি আক্রান্ত হয়েছে জুলাইয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে: আগস্টে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন হতে পারে?


২০১৯ ও ২০২৩-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর আগস্ট মাসকে চলতি বছরের ‘পিক সিজন’ হিসেবে দেখছেন তারা।


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘যদি আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারি, তাহলে সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু বাংলাদেশে গত ২০-২৫ বছরের মধ্যে একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।’

এদিকে রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি হাসপাতালগুলো নিয়েছে বলে জানান সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ড. খলিলুর রহমান


তিনি বলেন, ‘আমরা যাতে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারি, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, আমরা নিজেরা যাতে ভালো থাকতে পারি, সেদিকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে অবস্থা জটিল হওয়ার আগেই হাসপাতালে চলে আসতে হবে।’

এদিকে মশার বিস্তার ঠেকাতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।