ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নওগাঁর রাণীনগরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০১:৪৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / 23



নওগাঁর রাণীনগরে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে করে অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

উপজেলা সদরে একটু কম লোডশেডিং করা হলেও গ্রামাঞ্চলে ঘন ঘন লোডশেডিং করছে রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপজেলা সদরে ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং করা হলেও গ্রামা লে ৬ থেকে ৭ বার লোডশেডিং করা হয়েছে। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা।

উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ রাণীনগর জোনাল অফিসের আওতায় উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬২ হাজার ৫শ’ গ্রাহক রয়েছে। উপজেলা সদরে ও আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের দুুইটি সব-স্টেশন। গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুইটি সাব-স্টেশনে ১০টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসব ফিডারের মাধ্যমে সকল গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে রাণীনগর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, ভেপসা গরম আবার সেই সাথে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক। আর ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম, চালকলে চাল উৎপাদন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়া কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে বিশ্রাম বা শান্তি মত ঘুমাতেও পাড়ছে না মানুষ। এ লোডশেডিংয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং হাসপাতালে ভর্তিরত ব্যক্তিদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি।

পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকজন গ্রাহকরা বলছেন, গ্রামা লে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোন সময় থাকে না। এক-দেড় ঘন্টা পর আসলেও কিছু সময় পর আবার লোডশেডিং করা হচ্ছে। তারা বলছেন, দিনের বেলা লোডশেডিং কম হলেও রাতে ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয়। ফলে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গভীর নলকূপের অপারেটর ও অগভীর নলকূপের মালিকরা জানান, বর্তমানে ইরি-রোবো মৌসুম চলছে। ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে হচ্ছে। দিন-রাতে ঘন ঘন পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সময় মত জমিতে পানি সেচ দিতে পারছি না। ফলে ফলন নিয়ে কৃষকরা দুচ্ছিন্তায় পড়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম আকিয়াব হোসেন বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

নওগাঁর রাণীনগরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত সময় ০১:৪৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪



নওগাঁর রাণীনগরে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে করে অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

উপজেলা সদরে একটু কম লোডশেডিং করা হলেও গ্রামাঞ্চলে ঘন ঘন লোডশেডিং করছে রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপজেলা সদরে ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং করা হলেও গ্রামা লে ৬ থেকে ৭ বার লোডশেডিং করা হয়েছে। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা।

উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ রাণীনগর জোনাল অফিসের আওতায় উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬২ হাজার ৫শ’ গ্রাহক রয়েছে। উপজেলা সদরে ও আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের দুুইটি সব-স্টেশন। গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুইটি সাব-স্টেশনে ১০টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসব ফিডারের মাধ্যমে সকল গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে রাণীনগর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, ভেপসা গরম আবার সেই সাথে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক। আর ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম, চালকলে চাল উৎপাদন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়া কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে বিশ্রাম বা শান্তি মত ঘুমাতেও পাড়ছে না মানুষ। এ লোডশেডিংয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং হাসপাতালে ভর্তিরত ব্যক্তিদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি।

পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকজন গ্রাহকরা বলছেন, গ্রামা লে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোন সময় থাকে না। এক-দেড় ঘন্টা পর আসলেও কিছু সময় পর আবার লোডশেডিং করা হচ্ছে। তারা বলছেন, দিনের বেলা লোডশেডিং কম হলেও রাতে ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয়। ফলে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গভীর নলকূপের অপারেটর ও অগভীর নলকূপের মালিকরা জানান, বর্তমানে ইরি-রোবো মৌসুম চলছে। ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে হচ্ছে। দিন-রাতে ঘন ঘন পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সময় মত জমিতে পানি সেচ দিতে পারছি না। ফলে ফলন নিয়ে কৃষকরা দুচ্ছিন্তায় পড়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম আকিয়াব হোসেন বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।