ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নাটোরের লালপুরে ভেজাল গুড় তৈরির ধুম

নাটোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / 33



নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভেজাল গুড় তৈরির ধুম পড়েছে। উপজেলার লালপুর, বালিতিতা ইসলামপুর, রায়পুর, হাগরাগাড়ি ও ওয়ালিয়ার প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাছে গড়ে উঠেছে ভেজাল গুর তৈরির কারখানা।

বুধবার সকালে উপজেলার দিলালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সুমন ভারত থেকে আমদানিকৃত এলসি গুড় থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিকেল মিশিয়ে গুড় তৈরি করছেন।

অপরদিকে রায়পুর গ্রামে সারোয়ার নামের আরেক ব্যবসায়ী ভেজাল গুড় তৈরি করছেন।

তাদের সাথে কথা বললে তারা দাবি করেন, সকল দপ্তরকে ম্যানেজ করেই তারা এই কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তবে পুরো রমজান জুড়ে ইফতারের সময় সরবতের চাহিদা মেটাতে এলসি গুড় থেকে ভেজাল আখের গুড় তৈরি করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সকল ভেজাল গুড় উৎপাদন কারখানায় মাঝে মধ্যে দুই একবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারখানা মালিককে জরিমানা করা হলেও তার তোয়াক্কা না করেই অবাধে উৎপাদন করে যাচ্ছে ভেজাল গুড়।

স্থানীয়রা আরও বলছে, রোজার সময় গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আখের গুড়ের নামে বিভিন্নরকম ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল গুড় যা মানব দেহের জন্যে ক্ষতিকর। এখানকার উৎপাদিত এই সকল ভেজাল গুড় আড়তদারদের মাধ্যমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, আমরা নিয়মিত ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে থাকি। ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

নাটোরের লালপুরে ভেজাল গুড় তৈরির ধুম

প্রকাশিত সময় ০৭:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪



নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভেজাল গুড় তৈরির ধুম পড়েছে। উপজেলার লালপুর, বালিতিতা ইসলামপুর, রায়পুর, হাগরাগাড়ি ও ওয়ালিয়ার প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাছে গড়ে উঠেছে ভেজাল গুর তৈরির কারখানা।

বুধবার সকালে উপজেলার দিলালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সুমন ভারত থেকে আমদানিকৃত এলসি গুড় থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিকেল মিশিয়ে গুড় তৈরি করছেন।

অপরদিকে রায়পুর গ্রামে সারোয়ার নামের আরেক ব্যবসায়ী ভেজাল গুড় তৈরি করছেন।

তাদের সাথে কথা বললে তারা দাবি করেন, সকল দপ্তরকে ম্যানেজ করেই তারা এই কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তবে পুরো রমজান জুড়ে ইফতারের সময় সরবতের চাহিদা মেটাতে এলসি গুড় থেকে ভেজাল আখের গুড় তৈরি করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সকল ভেজাল গুড় উৎপাদন কারখানায় মাঝে মধ্যে দুই একবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারখানা মালিককে জরিমানা করা হলেও তার তোয়াক্কা না করেই অবাধে উৎপাদন করে যাচ্ছে ভেজাল গুড়।

স্থানীয়রা আরও বলছে, রোজার সময় গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আখের গুড়ের নামে বিভিন্নরকম ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল গুড় যা মানব দেহের জন্যে ক্ষতিকর। এখানকার উৎপাদিত এই সকল ভেজাল গুড় আড়তদারদের মাধ্যমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, আমরা নিয়মিত ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে থাকি। ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।