ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 122


কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে যৌতুক না পেয়ে সোনালী খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে কুমারখালী উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে সোনালী কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত স্বামী শফিকুল ইসলাম (২৬) ওই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে। আর সোনালী খাতুন উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের নগর সাওতা গ্রামের আনিস উদ্দিনের মেয়ে।

এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শফিকুলকে আটক করেছেন পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।

পুলিশ, নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধুকে মারধর করতেন স্বামী শফিকুল। সোনালীর বাবা গরিব মানুষ। অভাবের সংসার হলেও মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে বহুবার যৌতুকের দাবি পূরণ করেন তিনি। সর্বশেষ যৌতুকের টাকা না পেয়ে শুক্রবার রাতে সোনালীকে নির্মম নির্যাতন করেন তাঁর স্বামী। ভোরের দিকে স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধুকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির ভাই উজ্জ্বল বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে আমার বোন সোনালীকে বিয়ের পর থেকেই নির্মমভাবে নির্যাতন করত শফিকুল। সোনালীর মুখের দিকে চেয়ে বহুবার যৌতুকের দাবি পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ যৌতুকের দাবি পূরণে অপারগতা প্রকাশ করলে শুক্রবার রাতে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে সোনালীকে হত্যা করে শফিকুল। শফিকুল একজন মাদকাসক্ত। আমার বোনকে হত্যার জন্য শফিকুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, ফাঁসি চাই।’

গৃহবধুর শাশুড়ি হালিমা খাতুন বলেন, ‘ভোরে আমার ছেলের আও আও শব্দ শুনে দরজার কাছে এসে ডাকাডাকি করি। সাড়া পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি ছেলে অজ্ঞান হয়ে শুয়ে আছে। আর আমার পুত্রবধুর নাক দিয়ে রক্ত আর গাল দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে মারে নাই। বউ স্ট্রোক করে মারা গেছে।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, ভোরের দিকে হাসপাতালে আনার আগেই সোনালীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রয়েছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘যৌতুক না পেয়ে সোনালী খাতুন নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ১২:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২


কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে যৌতুক না পেয়ে সোনালী খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে কুমারখালী উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে সোনালী কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত স্বামী শফিকুল ইসলাম (২৬) ওই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে। আর সোনালী খাতুন উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের নগর সাওতা গ্রামের আনিস উদ্দিনের মেয়ে।

এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শফিকুলকে আটক করেছেন পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।

পুলিশ, নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধুকে মারধর করতেন স্বামী শফিকুল। সোনালীর বাবা গরিব মানুষ। অভাবের সংসার হলেও মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে বহুবার যৌতুকের দাবি পূরণ করেন তিনি। সর্বশেষ যৌতুকের টাকা না পেয়ে শুক্রবার রাতে সোনালীকে নির্মম নির্যাতন করেন তাঁর স্বামী। ভোরের দিকে স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধুকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির ভাই উজ্জ্বল বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে আমার বোন সোনালীকে বিয়ের পর থেকেই নির্মমভাবে নির্যাতন করত শফিকুল। সোনালীর মুখের দিকে চেয়ে বহুবার যৌতুকের দাবি পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ যৌতুকের দাবি পূরণে অপারগতা প্রকাশ করলে শুক্রবার রাতে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে সোনালীকে হত্যা করে শফিকুল। শফিকুল একজন মাদকাসক্ত। আমার বোনকে হত্যার জন্য শফিকুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, ফাঁসি চাই।’

গৃহবধুর শাশুড়ি হালিমা খাতুন বলেন, ‘ভোরে আমার ছেলের আও আও শব্দ শুনে দরজার কাছে এসে ডাকাডাকি করি। সাড়া পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি ছেলে অজ্ঞান হয়ে শুয়ে আছে। আর আমার পুত্রবধুর নাক দিয়ে রক্ত আর গাল দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে মারে নাই। বউ স্ট্রোক করে মারা গেছে।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, ভোরের দিকে হাসপাতালে আনার আগেই সোনালীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রয়েছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘যৌতুক না পেয়ে সোনালী খাতুন নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।’