লালপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক

- প্রকাশিত সময় ০৯:০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 13
নাটোরের লালপুরে সেচকাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দেড় মাসে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ থেকে ১১ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকাতে বৈদ্যুতিক পোলের ওপরের অংশে এমএস রড দিয়ে তৈরী কাঁটাযুক্ত খাঁচা স্থাপন, পোল বেয়ে ওপরে উঠা ছিদ্র বন্ধ, এমন কি পাহারা বসিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না ট্রান্সফরমার চুরি। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষককুল।
শুধু ট্রান্সফরমার নয় বৈদ্যুতিক মিটারও চুরি করছে চোরেরা। এরপর মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করছে। বিকাশ/নগদের মাধ্যমে টাকা পেলে নির্দিষ্ট স্থানে মিটার রেখে যাচ্ছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সিমিতি-২ এর লালপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানাগেছে, এলাকায় প্রায় এক হাজার টান্সফরমার রয়েছে। এর মধ্যে চোরদের টার্গেট মাঠের মধ্যে সেচ কাজে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার গুলো। এসব ট্রান্সফরমারের আওতায় ৪ শতাধিক সেচযন্ত্র রয়েছে। সেখান থেকে হাজার হাজার একর ফসলি জমি সেচ সুবিধা পেয়ে থাকে। এভাবে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হতে থাকলে চাষাবাদ ব্যহত হবে।
তারা জানায়, গতমাসে (আগষ্ট) ৮টি এবং ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চুরি হয়েছে তিনটি। চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের স্থানে নতুন একটি ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপনে কৃষকের ৪২ হাজার থেকে ৬৭ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।
উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের কৃষক শফিউল্লাহ জানান, মাঠের সেচ প্রকল্পের বিদ্যুতের খুঁটিতে এমএস রড দিয়ে কাঁটা যুক্ত খাঁচা তৈরি করে লাগানো ছিল। খুঁটিতে রড দিয়ে ওপরে উঠার ছিদ্র গুলোও বন্ধ করে দিয়েছিলাম তার পরেও ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকানো যায়নি। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে ৩টির মধ্যে ২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে।
এসব ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনায় লালপুর থানায় পৃথক পৃথকভাবে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় জানান, সেচযন্ত্র চালনার কাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকানো না গেলে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হবার অশংঙ্কা রয়েছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর লালপুর জোনাল ম্যানেজার রেজাউল করিম ট্রান্সফর্মার ও মিটার চুরির ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, চুরি ঠেকাতে এলাকায় মাইকিং করে কৃষকদের সতর্ক থাকার আহবান জানানো ছাড়াও আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এবিষয়ে তিনি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায়ও কথা বলেছেন।