ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে দুর্ধর্ষ চুরি

নাটোর জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৭:১০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 26



নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে আবারো দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। খোয়া গেছে প্রায় দশ লক্ষ টাকার সিগারেট ও মসলাজাতীয় মালামাল।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীর রাতে বনপাড়া বাজারের মৃধা পাড়া রোড আলিম মার্কেটের পূজা স্টোরে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

পূজা স্টোরের মালিক নিরোধ কুমার সাহা জানান, সোমবার সকালে দোকানে গিয়ে দেখতে পাই উপরের টিন কাটা এবং দুটি সিসি ক্যামেরা ঢাকা অবস্থায় আছে। চুরি হয়েছে সন্দেহে মালামাল যাচাই করে দেখা যায় প্রায় দশ লক্ষ টাকার সিগারেট ও মসলাজাতীয় মালামাল চুরি হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিক বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শামীম হোসেন এবং জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমানসহ বাজার কমিটির সম্পাদক হায়দার আলী মুক্তা। পরিদর্শন কালে দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় মুখোশধারী একজন চোর রাত্রি ২.১০ মিনিটে টিন কেটে দোকানে প্রবেশ করে ও সিসি ক্যামেরা ঢেকে দেয়। পুলিশ আলামত হিসেবে একটি নতুন কাটার মেশিন ও গ্লাস কাটার জব্দ করে। তবে জব্দকৃত আলামত স্থানীয় দোকান থেকে কেনা সন্দেহে তদন্ত করলে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলের আসে পাশে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুইজন মহিলা জানান, আমরা সকালে নামাজ পড়ে হাঁটাহাঁটির সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে মালামালসহ দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করি, তিনি বলেন ঢাকা থেকে মাল এসেছে আমি নিতে এসেছি। ওই মহিলাদের তথ্যের ভিত্তিতে অন্য একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় হেলমেট পরিহিত একজন ওই মালামাল সহ দাঁড়িয়ে আছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যে চোর কে সনাক্ত করে খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।

জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক এম. লুৎফর রহমান বলেন, বনপাড়া একটি ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যক শহর। এই বাজার পরিচালনা কমিটি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় থেকেই পরিচালিত। বিভিন্ন কারণে পর্যাপ্ত নৈশপ্রহরী না থাকায় এই ধরনের চুরি সংঘটিত হচ্ছে। আমরা আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন করলে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করা সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে দুর্ধর্ষ চুরি

প্রকাশিত সময় ০৭:১০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫



নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে আবারো দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। খোয়া গেছে প্রায় দশ লক্ষ টাকার সিগারেট ও মসলাজাতীয় মালামাল।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীর রাতে বনপাড়া বাজারের মৃধা পাড়া রোড আলিম মার্কেটের পূজা স্টোরে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

পূজা স্টোরের মালিক নিরোধ কুমার সাহা জানান, সোমবার সকালে দোকানে গিয়ে দেখতে পাই উপরের টিন কাটা এবং দুটি সিসি ক্যামেরা ঢাকা অবস্থায় আছে। চুরি হয়েছে সন্দেহে মালামাল যাচাই করে দেখা যায় প্রায় দশ লক্ষ টাকার সিগারেট ও মসলাজাতীয় মালামাল চুরি হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিক বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শামীম হোসেন এবং জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমানসহ বাজার কমিটির সম্পাদক হায়দার আলী মুক্তা। পরিদর্শন কালে দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় মুখোশধারী একজন চোর রাত্রি ২.১০ মিনিটে টিন কেটে দোকানে প্রবেশ করে ও সিসি ক্যামেরা ঢেকে দেয়। পুলিশ আলামত হিসেবে একটি নতুন কাটার মেশিন ও গ্লাস কাটার জব্দ করে। তবে জব্দকৃত আলামত স্থানীয় দোকান থেকে কেনা সন্দেহে তদন্ত করলে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলের আসে পাশে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুইজন মহিলা জানান, আমরা সকালে নামাজ পড়ে হাঁটাহাঁটির সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে মালামালসহ দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করি, তিনি বলেন ঢাকা থেকে মাল এসেছে আমি নিতে এসেছি। ওই মহিলাদের তথ্যের ভিত্তিতে অন্য একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় হেলমেট পরিহিত একজন ওই মালামাল সহ দাঁড়িয়ে আছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যে চোর কে সনাক্ত করে খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।

জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক এম. লুৎফর রহমান বলেন, বনপাড়া একটি ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যক শহর। এই বাজার পরিচালনা কমিটি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় থেকেই পরিচালিত। বিভিন্ন কারণে পর্যাপ্ত নৈশপ্রহরী না থাকায় এই ধরনের চুরি সংঘটিত হচ্ছে। আমরা আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন করলে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করা সম্ভব।